টিআই তারেক, যশোর:
এগ্রোটেক কোম্পানির পোল্ট্রির ফিড খাওয়ানোর ফলে যশোরে ২২জন খামারীর সর্বনাশ হয়েছে। ওই ফিড খেয়ে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মুরগি মারা গেছে। খাবারে গুনগত মান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় এসব পোল্ট্রির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারীরা। হঠাৎ অনেক মুরগির মৃত্যুর ফলে পূঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। ফলে তারা ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে যশোরের কেশবপুরের বুড়িহাটি, আওয়ালগাতী , মহাদেবপুর,কাবিলপুর বগা , ধর্মপুর, ও পাটকেলখাটা গ্রামের বিভিন্ন পোল্ট্রির খামারের গিয়ে দেখা গেছে, মুরগির পায়খানার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। পায়খানা না হওয়ায় যন্ত্রণায় ছটফট করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এগ্রোটেক কোম্পানির পোল্ট্রির ফিড খাওয়ানোর ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান খামারীরা। তাদের দাবি ওই খাবার খাওয়ানোর পরপরই পোল্ট্রির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে,পায়ের গিরা ফুলে যাচ্ছে ও পায়খানার নাড়ী সংকুচিত হয়ে মুরগি মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করে অবশেষে মারা যাচ্ছে।
এদিকে যশোরে এগ্রোটেক কোম্পানীর খাবার খেয়ে হাজার হাজার মুরগির মৃত্যু ও তাদের ফিড বন্ধের খবর পেয়ে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে এগ্রোটেক ফিড কোম্পানীর একটি বিশেজ্ঞ টিম গাজী পোল্ট্রির ফার্মসহ কয়েকটি খামার সরোজমিনে পরিদর্শন করেন। তারা মৃত্যু মুরগির পোস্টমটেম ও নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তবে খামারীদের এই ক্ষতিপূরণ ব্যাপারে তার কোন সাড়া দেননি।এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারীরা। এমনিতেই করোনার কারণে পোল্ট্রি খামারীদের বড় লোকসান হয়েছে। প্রায় ১ বছর যাবত তারা ন্যায্য মূল্যে পোল্ট্রি বিক্রি করতে পানেনি। তারপর হঠাৎ করেই আবার পেল্ট্রি ফিডের দাম বস্তা প্রতি দেড় থেকে ২শ’ টাকা বৃদ্ধি করেছে কোম্পানীগুলো। এতে খামারীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এমন অবস্থায় খামারীরা যশোরের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন। দাবী করছেন এগ্রোটেক কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের। #