ক্রাইমবাতা রিপোট: সরকার পতনের আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি উপনির্বাচনে অংশ নেবে বিরোধী ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)। তবে সিনেট নির্বাচনের বিষয়ে তাদের মতবিরোধ আছে। অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়ে আরো বলেছে, শুক্রবার দৃশ্যত উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাজেশন মেনে নিয়েছে পিডিএম। এদিন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা লাহোরের জাতি উমরাতে বৈঠক করেন। এতে উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরোর (এনএবি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পিডিএম সভাপতি মাওলানা ফজলুর রেহমান। এ সময় তিনি বলেন, এখনও তারা সরকারকে আগামী ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়েছেন এবং এ সিদ্ধান্তে অটল আছেন। তিনি আরো বলেছেন, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে পদত্যাগের জন্য ওই সময় বেঁধে দিয়েছেন।
যদি এ সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করেন তাহলে তারা লংমার্চ এবং জাতীয়, প্রাদেশিক পরিষদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করবেন। তিনি আরো ঘোষণা করেন পাকিস্তানে আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিডিএম। তবে সিনেট নির্বাচনের ইস্যুতে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
৩১ শে ডিসেম্বর ছিল পিডিএমের স্ব স্ব দলীয় সভাপতির কাছে গণহারে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। সেই সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। ফলে কতজন বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তা জানা যায়নি। আগামী ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে সরকার পদত্যাগ না করলে ইসলামাবাদমুখী লংমার্চ করার কর্মসূচি রয়েছে পিডিএমের। গত মাসে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের আটটি আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। একইভাবে আগামী মার্চে সিনেটের অর্ধেক সদস্যের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাবে। ফলে নতুন সিনেটর নির্বাচন করতে হবে। ফলে গত সপ্তাহে পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় শুধু উপনির্বাচন নয়, সিনেট নির্বাচনেও তারা অংশ নেবে। পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের সরকার কেন্দ্রে। এই সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য পিডিএমকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত পিপিপি আগেই নিয়েছে। এর ফলে বলা হচ্ছিল, পিডিএমের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফজলুর রেহমান পিপিপির সঙ্গে কোনো মতবিরোধের ইস্যু উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিপিপি নের্তৃত্ব তাদের সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে তারা আইনি বিষয়ে মতামত এবং রাজনৈতিক সংশোধন প্রক্রিয়ায় কথা বলেছে। তিনি আরো বলেছেন, গত ২০ শে সেপ্টেম্বর সর্বদলীয় সম্মেলনে যে ২৬ দফার ভিত্তিতে একজোট হয়েছিল পিডিএম, পিপিপি তার অধীনে অগ্রসর হয়েছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জোটে বিরোধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে বলে এর নিন্দা জানান মাওলানা ফজলুর রেহমান।
পিপিপি এরই মধ্যে সিনেট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন করা হলে মাওলানা ফজলু স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নয়। তবে তিনি আরোও উল্লেখ করেন, বিষয়টিতে পিডিএম পরে সিদ্ধান্ত নেবে।