মোঃ রুহুল আমিন,চৌগাছা (যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছার হাজরাখানা আইপিএস কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের মধ্যে প্রণোদনার একটি ধানরোপন যন্ত্র (রাইস ট্রান্স প্লান্টার) প্রদান করা হয়েছে। যার মূল্য সাড়ে তিন লক্ষটাকা। একই সাথে মেশিনটির সাথে ধান রোপনে ব্যবহারের জন্য ২শটি ট্রে প্রদান করা হয়।
রবিবার দুপুরে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজারাখানা মাঠে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজরাখানা আইপিএস কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের মধ্যে এই ধান রোপন যন্ত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দিপঙ্কর দাস ও কৃষি প্রকৌশলী সুজা উল হক।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রশেদুল ইসলাম, মুসলিমা খাতুন, মুক্তার হোসেন, শেখ শহিদুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম। কৃষকদের মধ্যে ছিলেন হাজরাখানা আইপিএস কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। কৃষক ইছাহক আলী, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, রফিকুল ইসলাম, আনিছুর রহমান প্রমুখ।
কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন তাদের সমিতিতে ১শ জন সদস্য রয়েছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার মিনি কম্বাইন্ড রিপার, রাইস ট্রান্স প্লান্টার ও পাওয়ার টিলার ফিডারসহ কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন। তিনি জানান এ পর্যন্ত তাদের সমিতির সঞ্চয়ের পরিমান সাড়ে তিন লক্ষটাকা। এবছর তাদের সমিতির সদস্যদের দেড়শ বিঘা ধান রোপনের লক্ষমাত্রা রয়েছে। তিনি জানান কৃষকের প্রতিবিঘা বোরো ধানের চারা উৎপাদন করতেই লেগে যায় ৬শ থেকে ১ হাজার টাকা। আর রোপণ করতে ১২শ টাকা। তবে প্রকৃতিক বিপর্যয় হলে বিঘাপ্রতি শুধুমাত্র চারাতেই ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ পড়ে যায়। আমরা এই ধান রোপন যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র ১২শ টাকায় চারাসহ কৃষকের এক বিঘা ধান রোপন করে দিতে পারবো। যাতে কৃষকের ৬শ থেকে এক হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ কম হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রইচ উদ্দিন জানান, এই মেশিনের মাধ্যমে সমিতির সদস্যরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও অন্য কৃষকদের মাত্র ১২ শ টাকায় প্রতি বিঘা ধান রোপন করে দিতে পারবেন। তাতে কৃষকের কমপক্ষে ৬শ টাকা কম খরচ হবে, যদিও কৃষকরা বলছেন ১ হাজার টাকা সেভ হবে। তিনি বলেন আমাদের এখানকার কৃষকরা একটু ঘনত্বে রোপন করেন। এজন্য মেশিনের মাধ্যমে ৯ ইঞ্চির দূরতে কৃষকরা ধান রোপন করবেন। এই মেশিনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১২ ইঞ্চি দূরত্বে ধান রোপন করা যাবে বলেও তিনি জানান।