চার বছর ধরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করছেন আশা চৌধুরী। তবে কখনও প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি তিনি। জাহিদ হাসানের সঙ্গে ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নাটকে অভিনয় করা আশার স্বপ্ন ছিল নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা। কিন্তু তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
সোমবার দিবাগত রাতে ট্রাকের ধাক্কায় নিভে গেল তরুণ অভিনেত্রী আশার জীবনপ্রদীপ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আশার মারা যাওয়ার দুই দিন আগে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। নাটকে তার সহশিল্পী ছিলেন সালাহউদ্দিন লাভলু ও আনিসুর রহমান মিলন।
এ ব্যাপারে নাটকটির নির্মাতা রোমান রুনী সাংবাদিকদের বলেন, অভিনয় দক্ষতার কারণে আশাকে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিই। তাকে যখন গল্পটি দিয়ে জানাই, তিনিই প্রধান নায়িকা। তখন থেকেই তিনি ব্যাপক সিরিয়াস ছিলেন। চরিত্রটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি টানা এক সপ্তাহ ধরে পরিশ্রম করেছেন। নিজে থেকে সালাহউদ্দিল লাভলু এবং আনিসুর রহমান মিলনের সঙ্গে গল্প নিয়ে বসেছিলেন।
রুনী বলেন, নাটকের প্রতিটা শর্ট শেষে আশা সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছে কেমন হয়েছে, ভালো না হলে সে আবার শর্ট দিতে চাইত। কাজের প্রতি সে খুব সিরিয়াস ছিল। তার স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্র নিয়ে। সে পথে এগোনোর মাঝেই সে মারা গেল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আশা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি পাবনা। সংসারে তারা চার বোন। তিনি ছিলেন সবার বড়। ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গেই আছে। সেখান থেকে তাঁদের রূপনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
চলচ্চিত্র সূত্র জানায়, আশা সম্প্রতি বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছিলেন। তার অভিনীত ছবিটির নাম ‘বাবা মেয়ে’। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত একাধিক নাটক এবং টেলিছবি।