রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিনলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভারত।
মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণাভিত্তিক একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। দেড় বছর আছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের (সিআরএস) প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে ভারত যদি রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করে তবে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগীর মর্যাদাও হারাতে পারে ভারত।
ওয়াশিংটনের তরফে যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদনসহ নানা সহযোগিতা সত্ত্বেও ভারত আরও দ্রুততার সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংগ্রহে তৎপর রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০০৭ সালে প্রথম রুশ বাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাছ থেকে এস -৪০০ প্রযুক্তি কেনার জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত।
রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি কোনোভাবেই বাতিল করা সম্ভব নয় বলে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছিল ভারত।
২০১৯ সালে ট্রাম্প সরকার জানিয়েছিল, রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি বাতিল করলে ভারত টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং পেট্রিয়ট-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকারে সেই প্রস্তাব মানেনি।
রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার দিকে এগিয়ে গেলে ভারতকে তার মূল্য দিতে হবে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ‘কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভারসারিজ থ্রো স্যাঙ্কশনস অ্যাক্ট’ আইন জারি করে।
এ আইন অনুযায়ী, কোনো দেশ রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম কিনলে সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।