বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নির্বাচনে কোন প্রকার অনিয়ম হলে ১নং আসামি হবেন ডিসি, ২নং আসামি এসপি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধÑ সিনিয়র নেতারা অনিয়ম করলে তাদের বিচার করতে হবে। আমি ২ জেলার ১১ জনের নাম প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছি। তারা দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন, কোম্পানীঞ্জের প্রশাসনের ওপর দোষ দিয়ে লাভ নাই, তাদের কিছু করার নাই। নোয়াখালীর ডিসি মো. খোরশেদ আলমকে উদ্দেশে বলেন, ডিসি কসম খেয়ে বলেছেন, আমি একরাম চৌধুরীর নাম লেখা মাস্ক পরিনি। আপনি যে মাস্ক পরেছেন, সে মাস্ক এ জেলার এক অপকর্মকারী এমপির নাম লেখা। এ প্রসঙ্গে মির্জা কাদের বলেন, যদি নোয়াখালীর দুর্নীতিবাজ নেতা একরাম চৌধুরী নাম লেখা মাস্ক ডিসির মুখে না থাকে, এ মুহূর্তে আমার ওপর আল্লাহর গজব পড়ুক।
এরা মাসোয়ারা খায়, তাদের কাছে কি আপনারা ন্যায় বিচার পাবেন? তিনি শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে, বসুরহাট পৌরসভার টিএন্ডটি রোডে, পৌরসভার বটতলায় পথসভায় ও পৌর মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন। মির্জা কাদের বলেন, আমি আগামী ১৬ই জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রমাণ করব, আমি পাগল নাকি ভাল। আওয়ামী লীগের সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে ৯৯ ভাগ লোক আওয়ামী লীগ করে, তিনি সেখানের এমপি, আগে মন্ত্রী ছিলেন এখন নেই। তিনি কি কি অনিয়ম করেছেন দেশবাসী জানেন। অনিয়ম না করলে তিনি মন্ত্রী হন নাই কেন? তিনি আমাকে বলেন, আমি নাকি পাগল ও উন্মাদ। মাহবুবুল আলম হানিফের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, আমাদের আরেকজন নেতা আমাকে বলেন আমার মধ্যে নাকি দায়িত্বশীলতার অভাব আছে। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে, তখন তিনি কি করেছেন? তিনি কি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন? এগুলো বন্ধ করেন, আমাকে কি করবেন, আমাকে মেরে ফেলবেন, বহিষ্কার করবেন, জেলে দেবেন? অসুবিধা নাই আমি প্রস্তুত। তিনি বলেন, গত পরশুদিন চট্টগ্রাম থেকে কবিরহাটে এক বাড়িতে অস্ত্র এনে রেখেছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। অস্ত্রধারীরা যে কোন সময় কোম্পানীগঞ্জে ঢুকে যেতে পারে, আপনারা সাবধানে থাকবেন। যদি কোম্পানীগঞ্জে নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হয়, নির্বাচনে রং লাগানোর ষড়যন্ত্র চলে। কোম্পানীগঞ্জের আমার একজন কর্মীর ওপরও হাত লাগে, যদি কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, কোন মায়ের বুক খালি হয়, কারো ঘরে আগুন লাগায় এবং ঘরের খড়ের গাঁধায় আগুন লাগায় সব দ্বায়-দায়িত্ব ডিসি ও এসপিকে নিতে হবে। জনতার কাতারে আপনাদের বিচার করা হবে। সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই কাদের মির্জা বলেন, আমি ৪৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্ম নেইনি। আমি গরিব স্কুল শিক্ষকের সন্তান, আমি ছেঁড়া জামা কাপড় পরে স্কুল, কলেজে লেখাপড়া করেছি। দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে শৈশবের দিনগুলো পার করেছি, আমার গরীব বাবা আমাকে জামা কিনে দিতে পারেনি, ঠিকমত ভাতও খেতে পারিনি, আমি না খেয়ে রাজনীতি করেছি। মির্জা কাদের আরও বলেন, কোম্পনীগঞ্জ ও কবিরহাটে আগামী ৩ মাসের মধ্যে গ্যাংস সংযোগ দেয়া হবে। যদি আমার এলাকার গ্যাস আমাদের দেয়া না হয়, তাহলে জাতীয় গ্রীডে সাড়ে ৭বিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেল।