তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ সময়ে এসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। খবর বিবিসির।
তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা পর্যায়ের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে অকার্যকর। চীন সরকারকে ‘খুশি রাখতে’ কয়েক দশক ধরে ‘স্বপ্রণোদিত হয়ে’ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়।
চীন তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে। কিন্তু তাইওয়ানের নেতারা নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। চীন সরকারকে খুশি রাখতে কয়েক দশক ধরে তাইওয়ানের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ের যোগাযোগে স্বপ্রণোদিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে যুক্তরাষ্ট্র। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে এই যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে অকার্যকর।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে যক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের টানাপোড়েন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগমুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন।
শনিবারের বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কূটনীতিকদের মধ্যকার যোগাযোগ সীমিত করতে জটিল কিছু বিধিনিষেধ আনা হয়েছিল। আজ আমি ঘোষণা করছি– নিজেদের আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।
এর প্রতিক্রিয়ায় ‘একক চীন’ নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছে চীন।
তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা চুক্তি না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।