সাতক্ষীরায় পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম, এবার হত্যার হুমকি

সাতক্ষীরায় এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য, তার স্ত্রী এবং পরিবারের আরও তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পরও পুলিশ এ সংক্রান্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেনি।

এই সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে মামলা প্রত্যাহার না করলে পরিবারটিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দেবহাটার পুষ্পকাটী গ্রামের গোলাম মোস্তফা টুটুল। এসময় তার বোন মোশরেকা খাতুন ও নাসিম মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম মোস্তফা তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার হায়দর আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বহেরা মৌজার দুই একর ৬৬ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল নামের এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় হায়দর আলী আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত এই মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বকুল জমি দখলের জন্য তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।

গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ জানুয়ারি সাবেক সেনা সদস্য হায়দর আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দর, গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন এবং শিশু শাফিন মোস্তাকিমসহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলেন।

‘এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটীর জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, আব্দুর রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুলসহ ৭-৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।’

এতে হায়দর আলী ও তার স্ত্রী শিরিনা হায়দর ও গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সোনিয়া গুরুতর জখম হন। তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় ১০ জানুয়ারি একটি মামলা করা হয়। মামলার খবর পেয়ে স্থানীয় রব্বানী মেম্বার ও বকুলসহ তাদের সহযোগীরা সেনাসদস্য পরিবারকে নতুন করে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেছে। গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এলাকায় সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনা নিয়ে পুলিশকে জানালেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন তারা সপরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি এ বিষয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বকুল বলেন, ওই জমিটায় তার অংশ রয়েছে। সেই জমিতে গেলে পরেই সংঘর্ষ ঘটে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।