জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, আজকের পৌর সভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি, অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে এমন কী বিএনপি সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না।’
তিনি বলেছেন, ‘ওরা (ক্ষমতাসীন দল) কাদের সমর্থন পাচ্ছে? প্রশাসনের। তারা গায়ের জোরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তারা তাদের এমপি বানানো যে কাজ করেছে এখন মেয়র হওয়ার জন্য তারা বলে, এমপি যদি আমরা এভাবে করতে পারি, তাহলে আমরা মেয়র এভাবে হবো না কেন?’
শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের অবস্থা কী তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি না বলতে চাই না। সত্যিকার ভোট হইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দরজা নাকী খুঁজে পাবে না- এটা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মুখ থেকে আসছে। আসলে তাই।’
ইভিএমে ভোট গ্রহণের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনে ভোটে দুরভিসন্ধি আছে।’
স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শনিবার সারাদেশে ৬০টি পৌর সভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে ৪টা পর্যন্ত।
৬০ পৌর সভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএমে এবং ৩১টিতে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের রজতজন্তরী উদযাপনে সন্মানা বিষয়ক উপ-কমিটির এই বৈঠক হয়। ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মোঃ আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।