ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে বসে আছেন নৌকার এজেন্ট। যিনিই ভোট দিতে ওই বুথে ঢুকছেন তাকেই তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের তারা বলেন, ভোট দিতে ‘সহযোগিতা’ করতেই তারা এই গোপন ব্যালট কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার রামানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে এমনটাই দেখা গেছে।
গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা ভোটার হারাধন বিয়া জানান, ইভিএম মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা জানি না। ভোটের আগে ইভিএম প্র্যাকটিস জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেন। রামানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা ভোট কক্ষের গোপন ব্যালট রুমে অবস্থান নিয়েছেন। নৌকার এজেন্ট খালেদা আক্তার ও জাকির হোসেন জানান, ভোটারদের সহযোগিতার জন্য বারবার গোপন কক্ষে আসতে হচ্ছে।
ভোটাররা ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর সহযোগিতার জন্য আমরা এ কক্ষে রয়েছি।
ভোটার আবদুল কাদের জানান, ডালিম মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভেতরে থাকা এজেন্টের লোকটি তাকে সহযোগিতার কথা বলে উটপাখি মার্কায় ভোট দিয়ে দেন। গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভোটারদের কাছে ইভিএমের ধারণা নতুন। তাই বিড়ম্বনাও বেশি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা কম হওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে নানাভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তারপরও কোনো ভোটার কিছু না বুঝলে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের সহায়তা নিতে পারেন। কোন প্রার্থীর এজেন্ট গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।