যশোর ব্যুরো যশোরে পুলিশের ‘নির্যাতনের’ শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুর করোনা নেগেটিভ ফল এসেছে।
তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাহমুদ হাসান বিপু নিজেই। তার দাবি, বরাবরই তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছিল। যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ভুল তথ্যে বিভ্রান্তি হয়েছিল। এ জন্য ঢাকায় পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখানে ফলেও নেগেটিভ এসেছে।
জানা যায়, পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়া বিপুকে গত মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ১১ জানুয়ারি মাহমুদ হাসান বিপুসহ পাঁচজনকে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পুলিশ সদস্যকে মারধর ও অপহরণচেষ্টার অভিযোগে তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
প্রতিবাদে যশোর শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ আটকের ১৯ ঘণ্টা পর বিপুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তবে পুলিশ হেফাজতে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ জন্য মুক্তি পাওয়ার পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাহমুদ হাসান বিপুর অভিযোগ, তিনি এক পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। যখন তার ওপর জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, তখন বিপু তাকে বাঁচাতে সেখান থেকে নিয়ে যান। ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ বিপুকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছে।
বিপু দুঃখ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালেও আমি পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকলেও আমাকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হলো। এবার পুলিশ আমাকে সারারাত কোনো খাবার দেয়নি। শুধু নির্যাতন করেছে।