যশোরের বাঘারপাড়ার কলেজ ছাত্র শিমুল হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার দোগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক আসামীরা হলো বাঘারপাড়া উপজেলার দোগাছি গ্রামের সৌমিত্র গোলদার, তার ভাই অমিত গোলদার, লক্ষিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাস।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি রোববার বাঘারপাড়া উপজেলার রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খাল থেকে শিমুল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তার পিতা মুকুল বিশ্বাস হত্যার অভিযোগে দুজনকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তারা শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে তার প্রতিবেশি এজাহারনামীয় আসামি সৌমিত্র গোলদার ও অমিত গোলদারকে আটক করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। একইসাথে হত্যায় জড়িত আরো তিনজনের বিষয়ে তথ্য দেয়। এরপর পুলিশ লক্ষিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, শিমুলকে নিয়ে তারা রঘুরামপুর মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্বের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সৌমিত্র গোলদার একপর্যায়ে শিমুলের গলাটিপে ধরে হত্যা করে। এসসয় অন্যরা তাকে সহায়তা করে। এরপর মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খালের মধ্যে ফেলে আসে। পুলিশ সুপার আরো জানিয়েছেন, আজ গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।