মিয়ানমারে বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আট লাখ ২৯ হাজার জনের যে তালিকা দিয়েছিল বাংলাদেশ- এর মধ্য থেকে ফেরত নেওয়ার জন্য মাত্র ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মিয়ানমার চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে শনাক্ত হওয়া এসব রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে সচিবালয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য চীন সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে চাল প্রদানের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের চীন সরকার ২ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৮ লাখ ২৯ হাজার জনের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। মিয়ানমার সরকার এদের মধ্য থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য মাত্র ৪১ হাজার ৭১৯ জনকে শনাক্ত করেছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। চীন সরকারও চায় রোহিঙ্গারা নিজ আবাসস্থলে ফিরে যাক। আমরা এ বিষয়ে চীন ও মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা আশা করছি, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চীন এ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বাংলাদেশের সব সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি