এফএনএস : যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প যুগের অবসান হয়েছে। আর ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। বুধবার ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় মধ্যদুপুরে (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে) প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১২৭ বছরের পুরনো বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ নেন বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। তাদের শপথ পড়ান যথাক্রমে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও বিচারপতি সোনিয়া সটোমাইয়র। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের পেছনে সেজন্য নির্মাণ করা হয়েছে সুউচ্চ মঞ্চ। খবর সিএনএন, আলজাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, ফক্স নিউজ, লস এ্যাঞ্জেলেস টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইউএসএ টুডে, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের। বাইডেনের পুরো নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র (৭৮)। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। আমেরিকা ইউনাইটেড থিমে সাজানো হয়েছে শপথ মঞ্চ। দুপুরের কিছু আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা ডি. হ্যারিস। যিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোন নারী এত বড় পদে আসীন হলেন। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান বংশোদ্ভূত নারী হিসেবেও এই অভিষেক প্রথম। বাইডেন তার ভাষণে জাতীয় সমস্যা, মহামারী কোভিড, বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ৫৯ তম শপথ উদ্যাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে লেডি গাগা জাতীয় সঙ্গীত গান। পরে কবিতা আবৃতি করেন আমান্ডা গরম্যান। এরপর গান শোনান জেনিফার লোপেজ। ভাষণে বাইডেন গভীরভাবে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে যা কিছু করণীয় তাই করার কথা জানান। সবাইকে একযোগে দেশ গড়ে তোলার কথাও বলেন। বাইডেন তার প্রেসিডেন্সিতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি যখন আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বাইডেন প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে ১৭ টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তার প্রথম কাজই হলো ফেডারেল সরকারের আওতাধীন দফতরসমূহের সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ প্রদান। এছাড়া তিনি দেশের সবাইকে আগামী এক শ’ দিন মাস্ক পরার নির্দেশ দেন। প্রথম দিনে তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তার মধ্যে রয়েছে- আগামী এক শ’ দিন সব মার্কিনীকে মাস্ক পরার নির্দেশ, করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে চিকিৎসাসামগ্রী ও টিকা দ্রুততম সময়ে সরবরাহে জরুরী পদক্ষেপ নিতে যাবতীয় কাজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি এখন এক দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো হয়ে উঠেছে। সেখানে ২৫ হাজার সৈন্য ঘিরে রেখেছে ক্যাপিটল হিলের কংগ্রেস ভবন। ভবনের সামনের উন্মুক্ত চত্বর লিংকন মেমোরিয়ালে স্বাভাবিক সময়ে যেখানে কয়েক লাখ দর্শকের সমাগম হওয়ার কথা, এখন তা জনমানবশূন্য। জনতার স্থান নিয়েছে দুই লাখ পতাকা। ওই স্মৃতিচত্বরের দর্শনীয় রিফ্লেকটিং পুল, যার টলটলে জলে প্রতিবিম্বিত হয় ৫৫০ ফুট দীর্ঘ স্মারকস্তম্ভ ওয়াশিংটন মনুমেন্ট, তার দুই ধারেও কোন মানুষ নেই। রয়েছে ৪০০ আলোকবাতি। যে চার লাখ মার্কিন নাগরিক করোনার কারণে মারা গেছেন, ওই পতাকা ও আলোকবাতি তাদেরই প্রতিনিধি। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন হাজারখানেক অতিথি, যাদের অধিকাংশই কংগ্রেস সদস্য ও বাইডেন-হ্যারিস পরিবারের লোকজন। আরও উপস্থিত থাকেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ অনুষ্ঠানের ঘণ্টাতিনেক আগে স্ত্রী মেলানিয়াসহ ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যান ফ্লোরিডা। বিশ্বজুড়ে সম্প্রচার করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ নেয়ার আগে সস্ত্রীক বাইডেন ও স্বামীসহ কমলা হ্যারিস করোনায় মারা যাওয়া চার লাখের বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা ঘটে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উস্কানিতেই হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরই সঙ্গে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে জঙ্গী হামলার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। সবদিক খতিয়ে দেখে শপথ অনুষ্ঠানে নজিরবিহীন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পঞ্চাশটি প্রদেশ থেকে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে। ক্যাপিটল হিল ও হোয়াইট হাউস চত্বরে নিñিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো চলাচল। তবে ঐতিহ্য আর প্রথা না মেনে শপথ অনুষ্ঠানে না থাকার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সাধারণত জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে, কিন্তু করোনাকালের সঙ্গে কিছুদিন আগের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারে তেমনটা হচ্ছে না। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজিত হয় ‘সেলিব্রেটিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠান। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস সেখানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টম হ্যাঙ্কস। শপথ নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি একনিষ্ঠভাবে শপথ গ্রহণ করছি যে, আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পাদন করব, এবং আমি আমার সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও প্রতিপালন করব। প্রেসিডেন্ট পবিত্র বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ নেন। বাইবেলটি তার স্ত্রী জিল বাইডেনের হাতে রাখা ছিল। ডান হাত তিনি উঁচুতে তুলে ধরে শপথ নেন। পরে এক ভাষণে তিনি দেশকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। কমলা হ্যারিসও শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। প্রথা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে চলে যান বাইডেন। হোয়াইট হাউসই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের আগামী চার বছরের কর্মস্থল ও বাসস্থান। প্রেসিডেন্টের অভিষেকে প্রথাগতভাবেই ব্যাপক নিরাপত্তা থাকে। সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেতৃত্বে থাকেন এজেন্ট ম্যাট মিলার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। অতীতের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের রীতি অনুযায়ী সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেন কমান্ডার-ইন-চীফ প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে পেনসিলভানিয়া এ্যাভিনিউ থেকে হোয়াইট হাউস পর্যন্ত সেই প্রথাগত প্যারেডের বদলে এবার হবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভার্চুয়াল প্যারেড। পরে সস্ত্রীক বাইডেন এবং স্বামীসহ হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী, যাদের সঙ্গে থাকে ব্যান্ড দলও। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন প্রেসিডেন্টরা অভিষেকের দিনে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় তারকাদের হাজির করেছেন। মহামারী সত্ত্বেও এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। বাইডেনের সক্রিয় সমর্থক লেডি গাগা উপস্থিত থাকেন এবারের অভিষেকে। তিনি জাতীয় সঙ্গীত গান। পরে মঞ্চে গান করেন জেনিফার লোপেজ। বাইডেনের শপথ গ্রহণের পর অভিনেতা টম হ্যাঙ্কসের উপস্থাপনায় ৯০ মিনিটের একটি টেলিভিশন শো হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দেন জন বন জোভি, ডেমি লোভ্যাটো এবং জাসটিন টিম্বারলেক। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ টিভি নেটওয়ার্ক এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রচারিত হয়। শুধু রক্ষণশীল নেটওয়ার্ক ফক্স চ্যানেলে এটা দেখানো হয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। বুধবার ভোরে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে হোয়াইট হাউস ছাড়েন তিনি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি থাকছেন না। এ ধরনের ঘটনা সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৮৬৯ সালে। সে সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রু জনসন তার উত্তরসূরির অভিষেকে অংশ নেননি। ট্রাম্প নিজের বিদায় অনুষ্ঠানও ওয়াশিংটন ডিসিতে না করে বরং মেরিল্যান্ডের এ্যান্ড্রুস বিমান ঘাঁটিতে আয়োজন করেছেন। মেরিন ওয়ানে করে সেখানেই রওনা হয়েছেন ট্রাম্প। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এ বিষয়ে পেন্সের সহযোগীরা বলেন, যৌক্তিকভাবে বললে, ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য একই দিনে দুই জায়গায় হওয়া দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্যিই খুব কঠিন। শপথ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিদায় নেয়ার আগে এক ভাষণে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো পরবর্তী প্রশাসনের সাফল্যের জন্য জনগণকে ‘প্রার্থনা’ করতে বলেছেন। যদিও তিনি তার ভাষণে একবারের জন্যও বাইডেনের নাম উচ্চারণ করেননি। নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আর দেখা মিলছিল না ট্রাম্পের। অবশেষে এক ভিডিও বার্তায় নীরবতা ভেঙ্গে বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। যা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ভাষণে যা বলেন বাইডেন \ শপথ নেয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাষণ দেন বাইডেন। অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অভিষেক বক্তৃতার দিকে তাকিয়ে থাকে পুরো বিশ্ব। কারণ, এর মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ভাবি পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বাইডেন এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালভাবেই ওয়াকিবহাল। খুব গুরুত্বসহকারে ভাষণ প্রস্তুত করা হয়। বাইডেনের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা মাইক ডোনিলন এ বক্তব্য লেখার প্রক্রিয়া তদারকি করেন। নিরাপত্তার চাদরে ওয়াশিংটন \ বাইডেনের অভিষেক উপলক্ষে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। এক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীদেরও ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তাদেরও তল−াশি করা হচ্ছে। প্রত্যেকের অতীত রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোথাও তারা কোন চরমপন্থী মন্তব্য করেছেন কি না। এ পরীক্ষা চালিয়ে ইতোমধ্যে ১২ নিরাপত্তারক্ষীকে অপসারণ করা হয়েছে। বিজনেস ইনসাইডার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ১২ জন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডকে কাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে চরমপন্থী শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আরেকজন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরমপন্থী মন্তব্য করেছেন। বাকি ১০ জনের সঙ্গেও বিভিন্নভাবে চরমপন্থীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। ৪ লাখ মার্কিনীকে স্মরণ বাইডেনের \ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় বাইডেন অংশ নিলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া চার লাখ মার্কিন নাগরিকের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মৃত্যুর ১১ মাসের মাথায় মঙ্গলবার সেখানে মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে এই স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইডেনের আবেগঘন ভাষণ \ ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে বাইডেনকে বিদায় জানিয়েছে তার নিজের শহর ডেলাওয়ার। সেখানে দেয়া বিদায় সংবর্ধনায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় ন্যাশনাল গার্ড সেন্টারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত ছোটখাটো সংবর্ধনায় বক্তব্য দেয়ার সময় কান্না থামাতে একাধিকবার থামতে হয়েছে বাইডেনকে। অন্তত দুবার চোখ মুছতে দেখা গেছে তাকে। বাইডেন বলেন, মৃত্যুর সময় ডেলাওয়ারের নাম আমার হৃদয়ে লেখা থাকবে। যদিও শপথ নিতে রাজধানীর পথে ট্রেনে পাড়ি জমানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। বন্ধুর এক পথে যাত্রা শুরু বাইডেনের \ করোনায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি, মহামারীর ধাক্কায় নাজুক অর্থনীতি, ভেঙ্গে পড়া পররাষ্ট্রনীতি, ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ট্রাম্পের চূড়ান্ত অসহযোগিতা আর সহিংসতার আশঙ্কার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথের মঞ্চে উঠেছেন বাইডেন।
Check Also
ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আবুল হোসেন সদর প্রতিনিধি : ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ …