ঢাকা আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে শাহাজাহান খন্দকার মনা নামে এক যুবককে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই পিন্টু।
শনিবার রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া কাসেমের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের ছোট ভাই পিন্টু সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার জমির মোল্লার ছেলে নুরুজ্জামান, একই এলাকার গোলাম রসূলের ছেলে রেজাউল ইসলাম পারভেজ এবং লিটন মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান নাজমুল।
নিহতের মা দাবি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার সন্ধ্যায় উষার আলো ক্লাবের জুয়েল, আরিফুল ইসলাম, রকি, সুমন, রাব্বি আমার বাড়ির সামনে আমার বড় ছেলে মনাকে গালিগালাজ করে। এসময় সে গিয়ে মনাকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসি এবং ওদেরকে সেখান থেকে যেতে অনুরোধ জানাই।
তারা কোনো কথা না শুনে উষার আলো ক্লাব ও যুবলীগের অফিসের কয়েকজন বখাটে নিয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে মনাকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় মনার ছোট ভাই পিন্টু এসে তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধে। এক পর্যায় আরিফুল ইসলাম, রকি, সুমনসহ ১০/১২ জন মনা ও পিন্টুকে লোহার রড, রামদা ও ইট দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মনা ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে পড়ে এবং পিন্টু গুরুতর আহত হয়।
পরে তাদেরকে সাভার এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনাকে মৃত ঘোষণা করে। পিন্টুকে আইসিউতে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, আরিফ, সুমন, খোকন, রকি, রাব্বী রাতে মদ পান করে মনাকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় মনা ও মনার ভাই পিন্টু বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে।
আশুলিয়া থানার এসআই ফজর আলী জানান, শুক্রবার সকালে মনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মনার বড় ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।