ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
টানা দুই ম্যাচে ক্যারিবীয় তারুণ্যনির্ভর দলকে ১২২ ও ১৪৮ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ৬ ও ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের গতির পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ১৪৮ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। তার কারণেই দেড়শ’র কাছাকাছি স্কোর গড়তে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশ দলের হয়ে মিরাজ চার, মোস্তাফিজ-সাকিব দুটি করে উইকেট নেন।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩০ রানে ফেরেন লিটন কুমার দাস। আগের ম্যাচে ৩৮ বলে ১৪ রান করা লিটন এদিনও সেই আকিল হোসেনের বাঁ-হাতি স্পিনে বিভ্রান্ত হন। সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ২২ রানে।
সাকিব আল হাসানের পছন্দের পজিশন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিনও সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে ১ রানে আকিল হোসেনের শিকার হওয়া শান্ত এদিন ফেরেন জেসন মোহাম্মদের স্পিনে। তার আগে ২৬ বলে করেন মাত্র ১৭ রান।
আগের ম্যাচে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তামিম ইকবাল। এদিন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটির পর ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তার আগে ৭৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার।
দলীয় ১০৯ রানে লিটন-শান্ত-তামিমের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাকিব-মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। দলের ৭ উইকেটের জয়ে ৪৩ ও ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব-মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮/১০ (রোভম্যান পাওয়েল ৪১, কেজর্ন ওটলি ২৪, এনকেরুমা ২০; মিরাজ ৪/২৫, মোস্তাফিজ ২/১৫, সাকিব ২/৩০)।
বাংলাদেশ: ৩৩.২ ওভারে ১৪৯ (তামিম ৫০, সাকিব ৪৩*,লিটন ২২, শান্ত ১৭, মুশফিক ৯*)।
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।