একবার জাল ফেলেই ভাগ্য খুলে গেল সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার ট্যাংরাখালি গ্রামের দরিদ্র জেলে রফিকুলের। একবার জাল ফেলেই পেলেন প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরার পশ্চিম সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর কাছে মাদার নদীতে এই মাছ ধরা পড়ে। ১২৬টি মাছের প্রতিটির ওজন ৭ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন রফিকুল ও এই মাছের ক্রেতা হারুনার রশীদ।
স্থানীয় নাম লাউভোলা এই মাছের ফুলকো নানা ধরনের ঔষধি গুণ বহন করে। এজন্য দেশে ও বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
জেলে রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার সকালে রায়মঙ্গল সংলগ্ন মাদার নদীতে ‘বাইস্যা জাল’ ফেলেন। দুপুরে জাল তুলতে গিয়েই তিনি হতবাক। সঙ্গী ও স্থানীয় লোকজনদের থেকে অনেক কষ্ট করে জাল তুলে দেখতে পান এর মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের লাউভোলা মাছের খনি।
১২৬ পিস মাছের ওজন ১ হাজার ৫১ কেজি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি কেজি ৫৯০ টাকা দরে তিনি তা বিক্রি করেছেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, এই মাছ বিক্রি করে তিনি হাতে পেয়েছেন প্রায় ৬ লাখ টাকা। এতে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা সদরের সোনার মোড়ের মদিনা ফিসের মালিক কালীগঞ্জের হারুনার রশীদ জানান, তিনি মাছগুলো সব কিনে নিয়েছেন। এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর ফুলকো ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ কারণে এর দামও বেশি।
তিনি বলেন, একবারেই আমি মাছগুলো কিনে নিয়েছি। আমি তা ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী বলেন, তিনি মাছগুলি নিজেই দেখেছেন। এই মাছের দাম অনেক বেশি। স্থানীয়ভাবে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ঢাকায় তা বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি কেজি হাজার টাকারও বেশি।