বাগেরহাটের শরণখোলায় বাঘের চামড়া উদ্ধারের তিন দিন পর একই এলাকা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাসস্টান্ড সংলগ্ন মনিরের ঘরের পাটাতন থেকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এই চামড়া উদ্ধার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মতিন হাওলাদার ওরফে মতি কাজীর ছেলে ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) ও বাগেরহাট সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মোশারেফ শেখের ছেলে মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)। মনিরুল ইসলাম বর্তমানে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসবাস করেন। তার বাসার পাটাতন থেকে এই চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা জানতে পারে মনিরের বাসায় হরিণের চামড়া বিক্রি হচ্ছে। গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইলিয়াস হাওলাদার ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে। এ সময় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে মনিরের বাসার পাটাতন তল্লাশি করে দুইটি ব্যাগ থেকে ১৯টি চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা। মামলা দায়ের পূর্বক চামড়া ও আটককৃত পাচারকারীদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় একই এলাকা থেকে র্যা ব-৮ ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকির (৫২) নামের এক পাচারকারীকে আটক করে।