স্টাফ রিপোটার: ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কুলিয়াডাঙ্গা সীমান্তে ২২ বাংলাদেশি নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১০ নারী ১০ পুরুষ ও ২ টি শিশু রয়েছে। এ সময় নাসিমা খাতুন নামের এক পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাদেরকে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মানুষ পাচারকারী দালাল মোকলেসুরের বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি নডাইল জেলায়। অন্যদের বাড়ি রংপুর ও ব্রাক্ষ্ম§ণবাড়িয়া জেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, তিনি গোপনসূত্রে খবর পান যে কয়েকজন নারী পুরুষকে ভারতে পাচারের লক্ষ্যে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোকলেসুরের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ভোরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ সময় মোকলেসকে না পেয়ে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান দালাল মোকলেস ও তার স্ত্রী নাসিমা ভারতে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আজ কোনো এক সময় তাদেরকে সীমান্ত পার করে ভারতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উদ্ধারকৃতরা হচ্ছে কালিয়ার রতœা শেখ, শ্রীনগর মুন্সিগঞ্জের রুনা খাতুন, রংপুর কাউনিয়ার ইসমত আরা, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার শিমু আক্তার, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার বিউটি আক্তার, নড়াইলের হীরা বেগম, নড়াইলের শিউলি খাতুন, কালিয়ার কাজল খাতুন, নড়াইলের রুবিনা খাতুন, কালিয়ার লাভলী খাতুন, কালিয়ার আবুল শিকদার, কালিয়ার সোবহান মোল্লা, নড়াইলের ইমন গাজী, খুলনা দিঘলীয়ার তানভির ইসলাম, নড়াইলের মাকবুল মোল্লা, নড়াইলের কামরুজ্জামান, নড়াইলের রফিকুল ইসলাম, শিমু মোল্লা, কায়েস শেখ ও জাহিদ শেখ। তাদের সঙ্গে আরও দুটি শিশু রয়েছে।