ক্রাইমবাতা রিপোটঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন এবং জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র(বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী বিএনপি দলীয় বর্তমান মেয়র আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা।
তারা দুজন আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের এই ঘোষণা দিয়েছেন।
৯ টি কেন্দ্রের সবক’টি থেকে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া, তাকে লাঞ্ছিত করা এবং বহিরাগতদের এনে নৌকায় ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কলারোয়া পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন। সকাল ১০ টায় ভোট চলাকালে তিনি এই ঘোষনা দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ভোট কাটাকাটি হচ্ছে। পুলিশ তার সব এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। তাকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে। প্রিসাইডিং অফিসার , ম্যাজিষ্ট্রেট এমনকি উপজেলা নির্বাহী
অফিসার তা প্রত্যক্ষ করেও কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকদের সাথেও পুলিশ অশোভন আচরণ করেছে। একজন ক্যামেরাম্যানকে গলার কলার ধরে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে পুলিশ।”
অন্যদিকে, জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র(বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী নার্গিস সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে বলেন, ”প্রতিটি কেন্দ্র থেকে আমার জগ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের নামে ভোটারদের সাথে এভাবে তামাশা করা ঠিক নয়। সকাল থেকে কেন্দ্র দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। একজন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নির্বাচনের জন্য এত আয়োজনের কি দরকার ছিল? এভাবে নির্বাচন করার চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সরাসরি গেজেট প্রকাশ করে মেয়র ঘোষণা করা ভালো ছিল।” সার্বিক পরিস্থিতি বিচেনায় নির্বাচন থেকে সরে দাাঁড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে, এ নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে শুক্রবার দুপুর ২ টায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জমাদি পাঠানো হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ব্যালট বক্স, ব্যালটসহ বিভিন্ন নির্বাচন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কলারোয়া পৌরসভায় ২১ হাজার ২’শ ৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ২’শ ৮৫ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৯’শ ৯৬ জন।