আল-জাজিরা, ডেইলি সাবাহ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া : ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির থেকে কয়কশ’ রোহিঙ্গা মুসলমান নিখোঁজ হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব রোহিঙ্গা মুসলমানকে প্রতিবেশী মালয়েশিয়ায় পাচার করা হয়েছে।
উপকূলীয় শহর লকসিয়েমাওয়ের রোহিঙ্গা টাস্ক ফোর্সের প্রধান রিদওয়ান জামিল বৃহস্পতিবার বলেন, “এসব রোহিঙ্গা কোথায় গেছেন আমরা তো জানি না।” লকসিয়েমাওয়ে শহরের কাছেই ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির স্থাপিত।
রিদওয়ান জামিল বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের লক্ষ্য হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া; তারা সামান্য একটু সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায়।”
তিনি জানান, লকসিয়েমাওয়ে শহরের শরণার্থী শিবিরে এখন মাত্র ১১২ জন রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছেন। অথচ গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ওই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বলছে, তারা অন্তত ১৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ওই শহর থেকে আটক করেছে। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন আরও অন্তত এক ডজন পাচারকারীকেও সুমাত্রা দ্বীপের মেদান শহর থেকে আটক করা হয়। সাধারণত সুমাত্রা দ্বীপের এই পয়েন্ট দিয়ে ইদানিং মালয়েশিয়াতে মানুষ পাচার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে উগ্রবাদী বৌদ্ধ এবং তাদের সমর্থক সেনা বাহিনীর অত্যাচারে টিকতে না পেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী বাংলাদেশ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তারা আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন।