রাস্তা থেকে মাইক্রোতে তুলে কিশোরীকে গণধর্ষণ

রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের ধলঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৯ জানুয়ারি রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই কিশোরীর নানা।

মামলার আসামিরা হলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আহাম্মদ উল্লাহ (২৬), ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর মেহেরঘোনা গ্রামের ছব্বির আহমদের ছেলে জালাল প্রকাশ ওরফে টুক্কুইল্যা (১৯), ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জাফর আলম (৪০) ও একই এলাকার মো: ইদ্রিসের ছেলে জাফর আলম প্রকাশ খোরশেদ (৫৫)। তবে আসামিদের মধ্যে জালাল প্রকাশ ও জাফর আলম পলাতক রয়েছেন।

এ দিকে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই কিশোরীকে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার সেফহোমে রাখা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিশোরী কক্সবাজারের ধলঘাটায় লন্ড্রির সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস এসে থামে। পরে গাড়ি থেকে তিনজন নেমে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে গাড়িতে তোলেন। এ সময় কিশোরী চিৎকার করলে তার মুখ বেঁধে ফেলেন তারা। পরে রাতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ও ২৯ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে ঈদগাঁও কলেজ মাঠে ওই তিন আসামি কিশোরীকে গণধর্ষণ করেন।

৩০ জানুয়ারি ভোরে ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কের জাপানি মমতাজ মার্কেটের দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষে কিশোরীকে নেয়া হয়। সেখানে চারজন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে কিশোরী চিৎকার করে। পরে বাজারে টহলরত পুলিশ এসে ওই কক্ষ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে । এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জাফর আলম প্রকাশ খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি তিন দুর্বৃত্ত কিশোরীকে কক্সবাজারের একটি সড়ক থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। ওই দিন রাতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসের মধ্যেই কিশোরীর হাত-পা বেঁধে একবার ধর্ষণ করেন। পরের দিন রাতে সেখান থেকে তিন দুর্বৃত্ত ওই কিশোরীকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও কলেজ মাঠে এনে আরেকবার ধর্ষণ করেন। ৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও বাজারের একটি মার্কেটের দোতলায় আটকে রাখা হয় কিশোরীকে।

সেখানে চারজন তৃতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরীর চিৎকার শুনে টহল পুলিশের দল তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে আটক করা হয় জাফর প্রকাশ খোরশেদকে। পরে মামলা দায়ের করা হলে আহাম্মদ উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ঘটনাস্থলসহ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার ওই দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, রোববার বিকেলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।