ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদান পদ্ধতি নির্বাচনে কারচুপি কমে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০টা গুণ্ডা, ২০টা হোন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা—সে পদ্ধতি এখন আর নেই। ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
পৌর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোয় ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া ভালো ভোট হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে।
পৌর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএনপির সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা, তারা আবার এত বড় কথা বলে কোন মুখে?’
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক আমলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। যেটা মিলিটারি শাসকরা ঠিক করে দিত, সেটিই হতো। রেজাল্টও পরিবর্তন করা হতো।
তিনি বলেন, অতীতে ভোট চুরির অপরাধে সরকারপ্রধানকে পদত্যাগও করতে হয়েছে।
একাদশ সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে পদ্মা সেতু নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করায় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেটার প্রশংসা তো করলই না, উল্টো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন– জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে কেউ উঠবেন না। তা হলে নদীটা পার হবে কিসে মাননীয় স্পিকার? যদি নৌপথে যেতে হয়, তা হলে নৌকা বা… নৌকায়ই যেতে হবে বা… উপায় তো নাই। হ্যাঁ… নৌকায়ই চড়তে হবে।
সরকারপ্রধান রসিকতা করে বলেন, আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধা নাই। আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকেই নেব। তবে বেছে নেব, কেউ নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে, সেটাও দেখব।