অং সান সু চির সরকারকে উচ্ছেদ করা ‘অপরিহার্য’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন হ্লাইং। তার এ মন্তব্যের পর মঙ্গলবার মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ভোরে সূর্য ওঠার আগেই সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতাকর্মীদের আটক করে মিয়ানমারের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনী।
নতুন সরকারের পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর সামনে রেখে এই অভ্যুত্থান পুরো জাতিকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে।- খবর এএফপির
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে হটানোর পর জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে ‘আইনপ্রণয়ন, বিচারিক ও নির্বাহী ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে। কার্যত ১০ বছরের গণতান্ত্রিক শাসনের পর দেশটিতে আবার সামরিক শাসন ফিরে এসেছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম তিনি মুখ খুলেছেন। বললেন, ভোট জালিয়াতির অভিযোগের পর সরকার সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আইন অনুসারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
নিজের ফেসবুক পেজে এই জেনারেল বলেন, অনেক অনুরোধের পর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণগ্রহণ অপরিহার্য ছিল। আর সে কারণেই আমাদের এই পথ বেছে নিতে হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা মূল্যায়ন করে দেখেছি যে, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান অং সান সুচি এবং উইন মিন্ট বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারপ্রধান। তাদের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
এই অভিধায় আখ্যায়িত হওয়ার পর মিয়ানমার সরকারকে সহায়তা করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এর ফলে মিয়ানমার সরকারের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে। কারণ সব ধরনের সহায়তা বেসরকারি সংস্থাগুলোর হাতেই চলে যাচ্ছে।
আর রোহিঙ্গা গণহত্যার পর দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।