সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে: মান্না

দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে দাবি করে সরকার পতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। এই সরকারের বিচার করতে হলে ভোটের দিকে তাকালে চলবে না। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সংহতি মঞ্চ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওই সভায় ১১ দফা দাবি তুলে ধরে জাতীয় সংহতি মঞ্চের নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী একেএম আশরাফুল হক।

সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, দাবি একটাই হবে। সেটা হলো এ সরকারের পতন। এক দফা দাবিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র উদ্ধারে আন্দোলন করব আমরা। সরকারের দুই নম্বরি রুখে দিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তারপর নির্বাচন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাঁচতে হলে সংহতি দরকার। পুরো ভোটের পদ্ধতি ধ্বংস করেছে, যা আওয়ামী লীগের নেতারা বলা শুরু করেছে। সারাদেশের মানুষ সরকারের অপকর্মের কথা বলা শুরু করেছে। কতজনের মুখ বন্ধ করবেন?

এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের এই দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে জাতিকে বৃহত্তর আকারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথের কর্মসূচি ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না।

শওকত মাহমুদ বলেন, এই সরকার জালেম সরকার। এই সরকার আলেমদের কোথাও ওয়াজ-মাহফিল করতে দিচ্ছে না। আলেমদের সত্য কথা বলার কারণে দেশছাড়া করছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

এবি পার্টির মহাসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ১৯৫২, ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে ঐক্য হয়েছিল। স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটাতে হলে ওই ধরনের ঐক্য প্রয়োজন। বাংলাদেশ চরম সংকটে পড়েছে।

সভায় ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা; স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা; সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করা; জাতীয় জীবনে ইসলামী মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়া; দেশে সব ধরণের উগ্রতা, অসহিষ্ণুতা ও সন্ত্রাস বন্ধ করা।

আরও রয়েছে, ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব আইন ও সাংবিধানিক ধারা বাতিল করা; ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইসলামবিরোধিতা বন্ধ করা; রাষ্ট্রের সব বিভাগে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও সুদমুক্ত অর্থব্যবস্থা চালু করা।
বাকিগুলো হচ্ছে, রাজনৈতিক কার্যক্রমের বিধি-নিষেধ ও প্রতিবন্ধকতা বন্ধ করা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার প্রমুখ।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।