নানা অপকীর্তির কারণে দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট। এ কারণে সরকার বেপরোয়া ও উন্মাদ হয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে একতরফা বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রায় দিয়েছে।সরকারের কিছু অপকর্ম বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে বরং মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে সামনে আনা হয়েছে। নড়াইলের আদালতের রায় কুটিল মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার নড়াইল আদালতে অসত্য, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মানহানির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে রায় প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে সরকারের অপশাসন, কুশাসন প্রচার তড়িঘড়ি করে আড়াল করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজানো মামলায় সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি যে রায় দিয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্য উচ্চারণের কারণে মানহানি মামলায় এ ধরনের রায় নজিরবিহীন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, আইন আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কন্ঠরোধ করা হয়েছে গণমাধ্যমের। কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার খড়গ। এই মামলাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারের ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়নে শুধু গণমাধ্যম নয়, গোটা জাতি এখন সেল্ফসেন্সরশিপে ভুগছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে মামলা ও আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছাতেই নির্দেশিত হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার এই নজিরবিহীন রায়ও বর্তমান সরকার প্রধানের ইচ্ছারই প্রতিফলন। অবিলম্বে রায় প্রত্যাহারের আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।