রুহুল কুদ্দুস: আশাশুনি: উপকূলীয় বাঁধ সংস্কার কাজ পরিদর্শন করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগিয়ে ভরে তুলতে হবে। বাঁধ যাতে আর না ভাঙে সেজন্য গাছ লাগিয়ে জংগল তৈরি করতে হবে। নদীর স্রোতের টানে বাঁধ ভাঙন রোধে জেগে ওঠা চর কেটে স্রোতেরর দিক পরিবর্তন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া কোলা এলাকায় সুপার সাইক্লোন আম্পানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, হিজলিয়া কোলা ভাঙন কবলিত বাঁধের পূর্ব পাশে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের মাটি কেটে ভাঙনকূল রক্ষা করতে হবে। গাছ লাগিয়ে জংগলে পরিণত করতে হবে। তবেই টেকসই হবে বেড়িবাঁধ। তা না হলে বাঁধ টিকবে না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বর্ষার আগেই বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতে সরকার কাজ করছে।
সাতক্ষীরা এবং খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। উপকূলের ভাঙন কবলিত ১২টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ বাঁধার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ সম্পন্ন করেছে। ১২টি প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক-এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রালেয়র অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক পরিকল্পনা ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন,
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক একই ইউনিয়নের হাজরাখালি, ঘোলা ত্রিমোহিনী ও হিজলিয়া কোলা এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে শুক্রবার তিনি সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরা শ্যামনগরের দাতিনাখালী, লেবুবুনিয়া, খুলনা জেলার কয়রার গোলখালী, বেদকাশী, হরিণখোলা, আশাশুনি উপজেলার চাকলা ও কুড়িকাউনিয়া ভাঙন এলাকার পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।