কলারোয়া প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রেমিক-প্রেমিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে তারা আতœহত্যা করেছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। পরকিয়া প্রেমঘটিত বিষয়ে এই আতœহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে পুলিশ বলছে, এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যার ঘটনা এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
মারা যাওয়া গৃহবধু ফাতেমা বেগম (৪০) উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ হাসানের স্ত্রী ও যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে। গৃহবধু ফাতেমার পিতার বাড়িও শ্যামনগরের ধুমঘাট এলাকায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সকালে শেখ আব্দুল হাই আমাকে ফোন করে জানায় আমার বাড়িতে দুইজন আতœহত্যা করেছে। থানা পুলিশে খবর দাও। মারা গেছে শেখ আব্দুল হাইয়ের পুত্রবধু ও অপর এক যুবক। আব্দুল হাইয়ের ছেলে শেখ হাসান মানুসিক ভারসমস্যহীন। প্রেমঘটিত কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে সকলেই ধারণা করছেন।
তবে এ ঘটনায় শেখ আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি থানায় জানানোর পর মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। একটি আমগাছে ডালে একই রশ্নিতে দুই পাশে ঝুঁলছিল দুই মরদেহ। কি কারণে তারা আতœহত্যা করেছে সেটির কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুবকের শরীরে আমরা কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি তবে গৃহবধুর মুখে ও গলায় আচড়ের দাগ রয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানান। আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে তাদেরকে দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।