নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সৎভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করতে বাধা দেয়ায় আপন মা ও তার সৎভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছায়েদুল হককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউপির পুজকরা গ্রামের ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আবদুল হাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) ও আজিজুল হকের স্ত্রী নুরুন নাহার (৪৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুজকরা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে তার সৎ ছোটভাই ছায়েদুল হক ওরফে শিকি। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সোমবার ছায়েদুল জানতে পারে তার ভাতিজিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে একটি পক্ষ দেখার জন্য আসবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা নুরজাহানের সঙ্গে ঝগড়া বাধে।
একপর্যায়ে ছায়েদুল ছুরি দিয়ে তার মাকে আঘাত ও সৎভাইয়ের ঘরে গিয়ে তার ভাবিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার ভাতিজিকে কুপিয়ে জখম করে ও ৯ মাস বয়সী একটি শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছায়েদুল হককে আটক করা হয়েছে এবং দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।