সাতক্ষীরায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নিবাচন হলেন যারা

ক্রাইমবাতা  রিপোটঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫২ জনসহ সর্বমোট ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৮৯ হাজার ২২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৪১৮ জন ও মহিলা ভোটার ৪৫ হাজার ৮০৬ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ৩৭ টি কেন্দ্রে ২৪৮টি ব্যুথে ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. তাজকিন আহমেদ ২৫০৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩২২১ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের শেখ নাসেরুল হক ১৩০৫০, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের ডা. এসএম মুসতাফীজউর রউফ ১৬৭৯ ভোট, জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১, ২ ও ৩ নং ওয়াডের প্রার্থী নূর জাহান বেগম (প্রতীক-জবাফুল) ১১৮৮৫ ভোট, জ্যোৎস্না আরা (প্রতীক-চশমা) ৫৮৬৮ ভোট এবং তাজিনা আক্তার (প্রতীক-আনারস) ১২৭০ ভোট পেয়েছেন ।


৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে অনিমা রাণী মন্ডল (প্রতীক-আনারস) ৫৪২৮ ভোট, ফরিদা আক্তার বানু (প্রতীক-জবা ফুল) ৪১৮৯ ভোট, মরিয়ম পারভীন (প্রতীক-টেলিফোন) ৩৭০৭ ভোট এবং মোছা: রওশন আরা (প্রতীক-চশমা) ৩৬৯৮ ভোট পেয়েছেন।

 

৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে মোছা. রাবেয়া পারভীন (প্রতীক-জবাফুল) ৭০২৯, ফারহা দীবা খান সাথী (প্রতীক-বলপেন) ৬৯৫৪ ভোট, গুলশান আরা (প্রতীক-চশমা) ১২১৯ ভোট, মোছাঃ রুবিনা জামান খান চৌধুরী (প্রতীক-আনারস) ৩৯৬০ ভোট এবং সাহিদা আক্তার (প্রতীক-অটো রিক্সা) ৪৯৫ ভোট।

সাধারণ সদস্য কাউন্সিলরের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে: মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল (প্রতীক-স্ক্রু ড্রাইভার) পেয়েছেন ২০০৯ ভোট, রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু) (প্রতীক-টেবিলল্যাম্প) ১৮২০ ভোট, মো. আব্দুস সেলিম (প্রতীক-ডালিম) ৫৭২ ভোট, শেখ জুলফিকার রহমান উজ্জল (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৩৪৪ ভোট, একেএম আহসান আজীম (প্রতীক-ঢেঁড়শ) ৮০ ভোট, নুরুল ইসলাম (প্রতীক-উটপাখি) ৩০ ভোট, মো. আছাদুল ইসলাম (প্রতীক গাজর) ২৩০ ভোট, মো. আব্দুর রাজ্জাক (প্রতীক-ব্লাক বোর্ড) ৭৩ ভোট, শেখ রশিদুর রহমান (প্রতীক-ব্রিজ) ২৯ ভোট, সেলিনা আক্তার (প্রতীক-পানির বোতল) ১৩৭ ভোট।
কাউন্সিলর ২নং ওয়ার্ডে: সৈয়দ মাহমুদ পাপা (প্রতীক ডালিম) ৪৭১২ ভোট পেয়েছেন। মো. আহসানুল কাদির (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১৫৭৯ ভোট, মো. তালিম হোসেন (প্রতীক-উট পাখি) ৪৭০ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৩নং ওয়ার্ডে: মো. আইনুল ইসলাম নান্টা (প্রতীক-ব্লাক বোর্ড) পেয়েছেন ২৫৮০ ভোট। মো. ইব্রাহীম (প্রতীক-পানির বোতল) ১৫৬৪ ভোট, কামরুল কবির চৌধুরী (প্রতীক ব্রিজ) ২৪০ ভোট, মো. আনোয়ার হোসেন (প্রতীক-উটপাখি) ৮০৪ ভোট, মো. সুমন রহমান (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৮৬ ভোট, শেখ আব্দুস সেলিম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১২৭৯ ভোট এবং শেখ মুজিবুর রহমান (প্রতীক-ডালিম) ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৪নং ওয়ার্ডে: কাজী ফিরোজ হাসান (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ২৮১১ ভোট পেয়েছেন। শেখ আছাদ আহম্মদ (প্রতীক-উটপাখি) ১৪০৪ ভোট, শেখ আফজাল হোসেন (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ৫২ ভোট, শেখ মাহমুদ হাসান (প্রতীক-ব্রিজ) পেয়েছেন ৫২ ভোট।
কাউন্সিলর ৫নং ওয়ার্ডে: শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন (প্রতীক-পানির বোতল) ১৭২৬ ভোট পেয়েছেন। মো. শাহিনুর রহমান (প্রতীক-গাজর) ১৬৯৪ ভোট, মো. আবু সাঈদ (প্রতীক-ব্রিজ) ১৬১ ভোট, মো. আব্দুর রাজ্জাক (প্রতীক-ফাইল কেবিনেট) ৭৪ ভোট, মো. আব্দুল মালেক (প্রতীক-ব্লাকবোর্ড) ৫৮ ভোট, মো. আমিরুল ইসলাম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১৬৭৬ ভোট, মো. ফারুক হোসেন (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৩৩ ভোট, মো. মিজানুর রহমান (প্রতীক-ডালিম) ১৮০ ভোট এবং মো. শহিদুল ইসলাম (প্রতীক-উট পাখি) ৮০০ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৬নং ওয়ার্ডে: শেখ মারুফ আহম্মেদ (প্রতীক- ডালিম) ২৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। মো. শহিদুল ইসলাম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ২৬৩৯ ভোট, মো. কামরুজ্জামান (প্রতীক-পানির বোতল) ৪৫৮ ভোট, মো. রফিকুল ইসলাম (প্রতীক-উটপাখি) ৫০৩ এবং শেখ মাহমুদ হোসেন (প্রতীক-ব্রিজ) ৮৯ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ডে: শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু (প্রতীক-পানির বোতল) ৩২৩৮ ভোট পেয়েছেন। এসএম জাহানুর হুসাইন (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ১৮২১ ভোট, মো. শাহাব উদ্দীন (প্রতীক-ঢেঁড়শ) ৫৬ ভোট, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (প্রতীক-ডালিম) ৩৮৫ ভোট, মো. জাহেদুল ইসলাম (প্রতীক টেবিল ল্যাম্প) ৮৫৯ ভোট এবং মো. রেজাউল করিম (প্রতীক-উট পাখি) ২৭ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৮নং ওয়ার্ডে: মো. শফিকুল আলম বাবু (প্রতীক-পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ৪৫৪৯ ভোট। মো. আনারুল ইসলাম রনি (প্রতীক-উটপাখি) ৯৭৫ ভোট, মো. মনিরুজ্জামান মনির (প্রতীক-পানির বোতল) ২৪০ ভোট, মো. শওকত আলী (প্রতীক-ডালিম) ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর ৯নং ওয়ার্ডে: শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর (প্রতীক-উটপাখি) ৩৭৪৬ ভোট। মো. জিল্লুর রহমান (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ৩২২৮ ভোট, মো. আবিদুল হক (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ১৭২ ভোট এবং এমএ রাজ্জাক (প্রতীক-ডালিম) ২৮৬ ভোট পেয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. নাজমুল কবির বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করে জানান, যথা সময়ে সরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫৬০৬৮। এরমধ্যে বাতিল হয় ১৪২টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৫৯২৬।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।