ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ের হাসি হেসেছেন মামা-ভাগ্নে ও বেয়াই ও বেয়াইন। নির্বাচিত মামা হলেন সাতক্ষীরা ২নং ওয়ার্ডে ৫ম বারের মতো কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা। তিনি ডালিম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৭১২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আহসানুল কাদির (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১৫৭৯ ভোট।
এদিকে নির্বাচিত ভাগ্নে সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল। তিনি স্ক্রু ড্রাইভার প্রতীকে পেয়েছেন ২০০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু) (প্রতীক-টেবিলল্যাম্প) ১৮২০ ভোট।
নির্বাচিত সৈয়দ মাহমুদ পাপা এবং মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল দুজন সম্পর্কে আপন মামা ভাগ্নে।
এদিকে বেয়াই-বেয়াইন দুজনই বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত বেয়াই হলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত কাইন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু। তিনি পানির বোতল প্রতীকে ৩২৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম জাহানুর হুসাইন (প্রতীক-পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ১৮২১ ভোট।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা পৌরসভার সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নূরজাহান বেগম। জবাফুল প্রতীকে তিনি পেয়েছে ১১৮৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যোৎস্না আরা (প্রতীক-চশমা) পেয়েছেন ৫৮৬৮ ভোট। নির্বাচিত জাহাঙ্গীর হোসেন কালু এবং নূরজাহান বেগম দুজন সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উৎসবমূখর পরিবেশে সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত: ২০১৬ সালে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর মেয়ের সাথে নূরজাহান বেগমের ছেলের বিয়ে হয়।