Share
চৌগাছা(যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণ মালার লজ্জা সইতে না সইতে না পেরে বিষ পান করে মিজানুর রহমান (৫৫) নামের এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মিজানুর রহমান উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাদেখানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রামের এক গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দয়ের করেছে। ধর্ষণের অপবাদ সইতে না পেরে মঙ্গলাবার সকালে তিনি বিষ পান করে। এসম তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাদপুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালে এবং পরে ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎস্যারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিজানুর রহমানের প্রতিবেশিরা জানান, মিজানুর রহমানের পাকা বাড়ি নির্মানের কাজ চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নবনির্মিত বাড়িতে কাজ করছিল তিনি। কাজের ফাকে গ্রামের এক গৃহবধু মিজানুর যে ঘরে কাজ করছিল সেই ঘরের মধ্যেই গল্প করছিল। এঘটনা মিজানুরের স্ত্রী জানতে পেরে তার দেবরের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঐ গৃহবধূসহ ঘরের দরজা আটকে দেয়। ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুৎ উভয় পরিবারকে বুঝিয়ে গৃহবধুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে গৃহবধুর স্বামী খবর জানতে পেরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গৃহবধু ঐদিন তার বাবার বাড়িতে আশ্রায় নিয়ে পরের দিন ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। চৌগাছা থানায় ধর্ষন মামলা নং ৪০।মামলার কপিতে তিনি উল্লেখ করেন, সমিতির কিস্তির জন্য টাকা ধার চায় মিজানুরের কাছে। টাকা দেওয়ার কথা বলে মিজানুর তার বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার করলে মিজানুরের স্ত্রী ও ভাতিজা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা খুলে মিজানুরকে পালাতে সাহায্য করে এবং চোরের অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে।
মিমাংসার কথা অস্বীকার করে আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, কয়েকদিন আগে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ হয়েছে কি বলতে পারবনা। তবে এ ঘটনার জের ধরেই মিজানুর আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্ভাবত ধর্ষণ অভিযোগে মামলার লজ্জা সইতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মিমাংসার কথা অস্বীকার করে আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, কয়েকদিন আগে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ হয়েছে কি বলতে পারবনা। তবে এ ঘটনার জের ধরেই মিজানুর আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্ভাবত ধর্ষণ অভিযোগে মামলার লজ্জা সইতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মামলার তদন্দকারি কর্মকর্তা চৌগাছা থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, আসামীর মৃত্যু ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি। ধর্ষণ অভিযোগে মামলা রেকর্ড হওয়ার পরে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বোঝা যাবে ধর্ষণ হয়েছে কিনা।