ভারতের ফরিদাবাদে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একটি গরুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এটির পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক, পেরেক, কাঁচের টুকরা এবং জঞ্জাল বের করেন চিকিৎসকরা।
২১ ফেব্রুয়ারি গরুটির অস্ত্রোপচার করতেই চমকে ওঠেন চিকিৎসক। প্রায় ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে গরুর পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিকসহ এ ধরনের আবর্জনা বের করে আনেন তারা। খবর এনডিটিভির।
বাচ্চাটাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গরুটিও মারা গেছে।
প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু তার পরও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমেনি। ফলে সামুদ্রিক জীব থেকে রাস্তার পশুরাও এর শিকার হচ্ছে। প্রাণহানি ঘটছে।
এ নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশবিদ ও পশুবিদরাও। প্লাস্টিক খেয়ে প্রতি বছর কত গরু মারা যায় ভারতে, তার সরকারি হিসাব না থাকলেও এক পশুকল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শুধু উত্তরপ্রদেশের লখনৌতেই এক হাজার গরুর মৃত্যু হয় প্লাস্টিক খেয়ে।
গোটা ভারতে যখন গোরক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুলছে গেরুয়া শিবির এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, গরুদের সুরক্ষা নিয়ে যখন মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে, প্লাস্টিকের কারণে গরু মৃত্যুর ঘটনায় তাদের সুরক্ষাবিধি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।