সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ক্ষোভে নির্বাচিত সভাপতিসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় অন লাইন পত্রিকা দৈনিক সমাজের আলোর সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৬ মার্চ ২১ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্যপরিষদের প্যানেলে যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তুজুলপুর গ্রামের মৃত ইছহাক মোড়লের ছেলে ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। নির্বাচনে প্যানেল ১২জন প্রার্থী বিজয়ী হলেও ১ ভোটের ব্যবধানে ইয়ারব হোসেন পরাজিত হন। এনিয়ে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী তার খালাত ভাই বাংলাভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিজস্ব ফেইজবুক আইডি ইয়ারব হোসাইন ব্যবহার করে ৬/৭ টি মানহানিকর স্ট্যাটাস প্রদান করে এবং উক্ত স্ট্যাটাসের মধ্যে পরোক্ষভাবে চাঁদা দাবি করেন। যা নিজ ফেইসবুক আইডিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ফেইজবুক আইডিতে পাঠানো হয়। অনেকেই মোবাইলে স্ক্রিন শটের মাধ্যমে উক্ত কুরুচীপূর্ণ মানহানিকর ও চাঁদা সংক্রান্তে স্ট্যাটাস সমূহ সংরক্ষণ করেন। তাছাড়া সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ইয়ারব নিজস্ব ফেইজবুক আইডিতে স্ট্যাটাস প্রদান করে।
তার স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে ‘সভাপতি বাপীকে চেয়ারে বসতে দেবে না, আমি একা বের করবো’ ‘বিজয়ী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ ৬ জনকে দ্রুত পদত্যাগ করার অনুরোধ করছি, না হলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে। আমি আমার প্যানেলে সকলকে ভোট দিয়েছি। প্রমান দেব। কিন্তু একসাথে থেকে সভাপতির ভাই আসাদ, আরো তিনজন তারা ভোট দিল না। আছাদ রেডি থাকেন ব্যবস্থা হবে। বড় চাঁদাবাজ। ‘সভাপতি বাপীর ভাই আমাকে ভোট দেয়নি। সভাপতিকে কৈফিয়ত দিতে হবে। সভাপতির চেয়ারে বসতে দেব না। আরো দুইজন সনাক্ত। একসাথে চলেন অনলাইন জলিলের লোক।’ মর্মে তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডি হতে কুরুচিপূর্ণ মানহানিকর ও চাঁদার দাবিসহ হুমকি প্রদর্শন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতিসহ প্রেসক্লাবে জড়িত সকলকে সামাজিক ও মানসিকভাবে মানক্ষুণœ করেছেন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাতক্ষীরার আদেশের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সামাজিকভাবে হেয় করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান, ইয়ারব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা (২৬নং) রেকর্ড করার পর তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।