বিলাল মাহিনী (অভয়নগর) যশোর,প্রতিনিধি :
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গৃহহীনদের বসতঘর প্রদান প্রকল্পের বসতঘর অভয়নগরে নির্মান কাজ শেষের আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের ঋষিপাড়ার গোপাল দাসের ঘরটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘরটি পুনরায় নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপকারভোগী গোপাল দাস জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মিস্ত্রিরা নির্মাণ কাজ শুরু করে। শুরু থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে রাজমিস্ত্রি নয়ন। টাকা দিতে না চাইলে ইউএনওকে বলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয় সে। এমনকি লাল তালিকায় তৈরি করে নাম বাদ দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। ভয় ও আতঙ্কে নয়ন মিস্ত্রিকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা নগদ দিতে হয়েছে। ইটের খোয়া, সিমেন্ট ও রড কিনতে দিতে হয়েছে আরো ১০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, টাকা দিতে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। চোখের সামনে নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে পড়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে পরিবার নিয়ে কিভাবে বসবাস করব?
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদায়ী ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান ও তার সহযোগী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরীফ মো. রুবেলের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বসতঘর ভেঙে পড়ছে।চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাদির মোল্যা মুঠোফোনে জানান, এসব কাজে অনিয়ন-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হোক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিজিবুল ইসলাম জানান, নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ কয়েকটি ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এগুলো পরে নির্মাণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। বসতঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে ১১টি ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এগুলো পুননির্মাণ করা হবে।