স্টাফ রিপোটার: ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক আবু রায়হান হত্যা, গাজীরহাটে পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলার পলাতক আসামী জামায়fত নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
সে দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের আব্দুল করিম সরদারের ছেলে। স্থানীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সখীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে জিয়া। এরপর সে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সৌদি আরবে যায়। বয়স কম হওয়ায় সেখানে কান্নাকাটি করায় বাবা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এরপর পারুলিয়াতে সে তার বড় ভাই এর হার্ডওয়ারের ব্যবসা দেখাশোনা করতো। এ সময় সে স্থানীয় এক বিএনপি’ নেতার হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করে। পরে জামায়াত নেতাদের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে জামায়াতে যোগদান করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সে সখীপুর ইউনিয়ন জামায়তের সেক্রেটারী ছিল। বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম ও দ্বিতীয় আদালতে তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে তার পিতা মো: আব্দুল করিম সরদার জানান তার ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া বিগত বছর চাকুরি করার জন্য কুয়েতে প্রবাসি ছিল। করোনা কালিন অবস্থার কারণে কাজ না থাকায় সে দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সে জামিন নেয়ার উদ্দেশ্যে কোর্টে আতœসমার্পণ করে। মামনীয় আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সেখান থেকে আজ অবধী সাতক্ষীরা জেল হাজতে রয়েছে। গত ১১ মার্চ আমি তার সাথে কোটে দেখা করতে যেয়ে তার পায়ে ডান্ডবেড়ি লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। তার সাথে কথা বলে জানতে পারি তাকে জেল হাজতে সেলের মধ্যে রাখা হয়েছে। যা মানুষিক নির্যাতন পর্যায়ে পড়ে। তার এ নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে দেবহাটা থানার জিআর-১৪৫/১৩(সেশন-৪০৯/২১), একই থানার জিআর-৬৬/১৩(এসটিসি-৩৩৪/১৫), জিআর-১০৮/১৮(এসটিসি-৩৬৯/২০), জিআর-১১৮/১৮(এসটিসি-৩৭০/২০), দ্রুত বিচার-১০/১২, জিআর-৪৫/১৪(টিআর-২৮/১৮), জিআর-৪৫/১৪(এসটিসি-৪৮৯/১৫), সাতক্ষীরা সদর থানার জিআর-৫৩/১৫(এসটিসি ১৩৩/১৭), জিআর- ৫৬/১৩(টিআর-২৬/২০), জিআর-৬৮/১৩(টিআর-৫৮/২০), জিআর-৬৯/১৩ (টিআর-২২৯/১৮), জিআর-৬৬/১৩(টিআর-০৫/২০), জিআর-৫৩/১৫(টিআর-২০০/১৮ কালিগঞ্জ) মামলা বিচারাধীন। ২০১৩ সালের ১৯ মে দেবহাটা থানায় জিয়াউর রহমান এর বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও ২৫(ঘ) দেবহাটা থানার জিআর-৬৬/১৩ / এসটিসি ৩৩৪/১৫ নং মামলায় জামিন শুনানীর জন্য বৃহষ্পতিবার দিন ধার্য ছিল। তবে তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমান জামিন শুনানীর জন্য সময়ের আবেদন করেছেন। তবে তার জামিন যাতে না হয় সেজন্য তিনিসহ তিনটি আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি গণ সবধরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।