গত ১২ মার্চ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিকসহ নিউজ পোর্টালে “গোপনে আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছে দুর্ধুর্ষ আফগান জিয়া!” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন তার পিতা আব্দুল করিম সরদার। এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমার ছেলে জিয়াউর
রহমান জিয়াকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্র্রণোদিত। তিনি বলেন, আমার ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া গত ৬ বছর চাকুরি করার জন্য কুয়েতে প্রবাসি ছিল। ১০/০১/২০২১ ইং তারিখে করোনা কালিন অবস্থায় কাজ না থাকায় সে দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সে জামিন নেয়ার উদ্দেশ্যে কোর্টে আতœসমার্পণ করে। মাননীয় আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সেখান থেকে আজ অবধী সাতক্ষীরা জেল হাজতে রয়েছে। গত ১১ মার্চ আমি তার সাথে কোটে দেখা করতে যেয়ে তার পায়ে ডান্ডাবেড়ি লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। তার সাথে কথা বলে জানতে পারি তাকে
জেল হাজতে সেলের মধ্যে রাখা হয়েছে। যা মানুষিক নির্যাতন পর্যায়ে পড়ে। তার এ নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা ও ছবি তুলে গণমাধ্যমে প্রকাশ আইনের পরিপন্থি বলে আমি মনে করি। যা দেশের প্রচলিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরো বলেন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তাকে হয়রানি করার জন্য তার নাম জিয়াউর রহমান জিয়া বিকৃত করে আফগান জিয়া হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়। অথচ জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম মো: জিয়াউর রহমান জিয়া, পিতা মো: আব্দুল করিম সরদার উল্লেখ আছে। উল্লেখিত বিকৃত নাম ( আফগান জিয়া) সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তি হীন। প্রতিবাদ বার্তায় তিনি আরো বলেন, উল্লেখিত সংবাদে আমার ছেলে আফগানিস্থানে তালেবানদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এমতাবস্থায় আমি আমার পুত্রের জীবননাশের আশংকা করি এবং সুবিচার নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের সহযোগীতা কামনা করছি।