কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪০০ ভরি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় ১ বছর ৪ মাস পরে থানায় মামলা হয়েছে। কলারোয়া থানায় ২০মার্চ বিকেলে সীমান্তের কাঁকডাঙ্গা বিজিবির পক্ষ থেকে মামলাটি দেয়া হলে ঘটনার প্রকাশ পায়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার সময় ৩৩/ই কোম্পানীর কাঁকডাঙ্গা বিওপি ৮৮৪৫২ নং সিপাহী শামীম হোসেন, সঙ্গীয় সিপাহী ৯৬৫৯০ আকিব হোসেন, সিপাহী ৯৪৩৯০ সুমন মিয়া, সিপাহী ৯৬৮৪৯ রাজু আহম্মেদ বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় টহল দেয়। ডিউটি চলাকালে সকাল সাড়ে ৮টার সময় বালিয়াডাঙ্গা বাজার বড় মসজিদের সামনে কসটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ৪০০ভরি (৪.৬৬৮গ্রাম) স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্যে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে সময় ওই মালামাল উদ্ধারের স্বাক্ষী ছিলো-কাঁকডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মিকাইল হোসেন (৩২), তাহের আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৫)। পরে স্বর্ণের বার গুলো উদ্ধার করে সাতক্ষীরা জুয়েলার্স সমিতিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ২দিন পরে সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে ২৪ নভেম্বর-২০১৯ সালে জমা দেয়। যার ট্রেজারী নং-১৭/২০১৯ ইং। দীর্ঘ ১বছর ৪ মাস পরে ২০১৯ সালের স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় ২০২১ সালের ২০ মার্চ বিকালে কাঁকডাঙ্গা বিওপির একজন সিপাহী শামীম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৮(৩)২১। এই মামলায় কোন সুবেদার বা হাবিলদার ও নায়েক সুবেদারের বাদী করা হয়নী। শুধু মাত্র একজন সিপাহী নিজের ক্ষমতা বলে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম ও ঠিকানা উদঘাটনের চেষ্টা করতে ১বছর ৪ মাস সময় নিয়েছে। আসলে এ ঘটনার পিছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। তা না হলে কেন এতদিন পরে থানায় মামলা দেয়া হলো। তিনি এজাহারে আরো বলেছেন-অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম ও ঠিকানা উদঘাটনের চেষ্টা করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করতে ১ বছর ৪ মাস সময় লেগে যায়। এই হলো মামলার বিলম্বের কারণ।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …