স্টাফ রিপোর্টার : হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মামুনুল হক বলেছেন, আর যদি আমার কোনো ভাইকে হত্যা করা হয়, আবার যদি গুলী চলে, আর যদি কোনো ভাইয়ের রক্ত ঝরে, তাহলে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গোটা বাংলাদেশ অচল করে দেয়া হবে। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম।
গতকাল রোববার হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বিকেল ৪ টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের নায়েবে আমীর আব্দুর রব ইউসূফী, হেফাজত নেতা মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি এবং জোনায়েদ আল হাবিব।
মামুনুল হক বলেন, হেফাজতের হরতাল কর্মসূচি ছিল, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তবু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে দেখা গেছে আওয়ামী পান্ডাদের। আমার শান্তিপ্রিয় ভাইদের ওপর পুলিশ-বিজিবি নির্বিচারে গুলী ছুঁড়েছে। মধুগড়ের বর্ষীয়ান আলেম হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ গুলীবিদ্ধ হয়েছেন। এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করল। মনে রাখবেন, এভাবে গুলী করে হেফাজতকে দমানো যাবে না, আপনি আপনার গদি টেকাতে পারবেন না।
মামুনুল হক প্রশ্ন রাখেন, হাটহাজারীতে, বি.বাড়িয়ায় আমার ভাইয়ের রক্ত পান করেছেন, পীর সাহেবকে রক্তাক্ত করেছেন, নির্বিচারে গুলী ছুঁড়ছেন- এরপরেও কি আপনাদের রক্ত পিপাসা মেটেনি? এভাবে গোটা বাংলাদেশের জনগণকে খুন করে আপনারা কি রামরাজত্ব চালাতে চান? আপনারা তা করতে পারবেন না। তা করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। রক্ত ঝরিয়ে রাজপথ থেকে হেফাজত কর্মীদের সরানো যাবে না। আবার যদি আমার কোনো ভাইয়ের রক্ত ঝরে, হত্যা করা হয়, আর একটি গুলীও যদি ছোঁড়া হয়, তাহলে গোটা দেশকে অচল করে দেয়া হবে।
তিনি নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলা না করা এবং বহিরাগতদের ফাঁদে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
হরতালের সমর্থনে পল্টন মোড়ে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে লাঠিসোটা হাতে মিছিল বের করেন তারা।
এর আগে রাজধানীর উত্তরা, লালবাগ, মোহাম্মদ, যাত্রাবাড়ি থেকে চিটাগাং রোডে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সকালে পুলিশ বিজিবির সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া রাজধানীতে আর কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। সব জায়গায় শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। তবে বায়তুল মোর্কারম মসজিদের সমাবেশের মধ্য দিয়েই রাজধানীর হরতাল শেষ হয়।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …