বিলাল মাহিনী / অভয়নগর (যশোর) :
বিনা প্রয়োজনে এবং সরকারের পরিবেশে দপ্তরের অনুমতি ছাড়া বৃক্ষ নিধন সম্পূর্ণ বে আইনী ও দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়া সত্বেও পুড়ছে গাছ, ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে থোড়াই কেয়ার করে একটি স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহল ফের কয়লার চুল্লি চালু করেছে। বন উজাড় করে পুনরায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে দেদারছে।
বেশ কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন চুল্লিগুলি ভেঙ্গে দেয়ার পরও আবার নতুন করে কাঠ পুড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাঠকয়লা তৈরির চুল্লি।
এই চুল্লিতে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রতিনিয়ত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছে এলাকার কিছু অসাধু পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি। বিশেষ করে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রাম ও সিদ্দিপাশার সোনাতলা এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই এলাকায় প্রায় ৫০টির অধিক চুল্লিতে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি চুল্লিতে গড়ে ১৫দিনে প্রায় ২৫০মণ কাঠ কয়লা তৈরির কাজে পুড়ছে। বেশ কিছু চুল্লি ভৈরব নদের তীরবর্তী এবং দূর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বাকি চুল্লিগুলোতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে ফেললেও পূনরায় আবার ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে দেদারছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। অসাধু চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না অনেকে। তাদের মতে, প্রশাসন যদি জোরালো কোনো ভূমিকা রাখে তাহলে হয়তো এই গাছ কেটে কয়লা তৈরি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি যেহেতু অবগত নই, সেহেতু বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।