ধুলিহরে এক মহিলা মেম্বরকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার ধুলিহরে। এঘটনায় সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
ওই মহিলা মেম্বারের নাম রাবেয়া সুলতানা। তিনি ধুলিহর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর।
এজাহার সূত্রে ও ওই মহিলা মেম্বর এ প্রতিনিধিকে জানায়, সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের কাচারী পাড়া এলাকার মৃত. শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নেতা শেখ বোরহান উদ্দীন (৫০) দীর্ঘদিন যাবৎ মহিলা মেম্বর রাবেয়া সুলাতানার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় সে বিভিন্ন সময় তার বাহিনী নিয়ে চাঁদা চাওয়া অব্যহত থাকলে হঠাৎ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই মহিলা মেম্বর তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বসে থাকলে আওয়ামীলীগ নেতা বোরহান মহিলা মেম্বরকে মারপিটে করে। এসময় তার ক্যাশ বাক্সে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং বাকী টাকা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের আল্টিমেটাম দেয়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তাকে শ্লীলতাহানী ঘটায় ও বিভিন্ন হুমকি প্রদানও করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মহিলা মেম্বর রাবেয়া সুলতানা বাদী হয়ে ওইদিনই সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে মহিলা মেম্বর ও স্থানীয়রা আওয়ামীলীগ নেতা বোরহানের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামীলীগ নেতা বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুপরিবারের সদস্য ব্রক্ষরাজপুরের বিরেন পালের ছেলে সুজন পাল, তেতুলডাঙ্গার দিলীপ সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মারপিট সহ একাধিক অভিযোগ আছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ইন্সপেক্টর বুরহান উদ্দীন বলেন, ভুক্তভোগী মহিলা ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বিষয়টি সার্কেল স্যার দেখছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বোরহান উদ্দীনের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য রাবেয়া সুলতানা। বোরহান মহিলা ইউপি সদস্যের কাছ থেকে নিয়মিত বাড়তি টাকা নেয় কিন্তু ডিডে জামানত বাড়ায় না। এবিষয়ে প্রতিবাদ করা নিয়ে এধরনের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে একজন মহিলা ইউপি সদস্যকে এভাবে মারপিটের নিন্দা জানান এবং বোরহানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযুক্ত বোরহান উদ্দীন বলেন, আমি তাকে মারপিট করতে যাবো কেন। সে উল্টো আমাকে মারপিট করেছে। আমার দোকান তাকে ছেড়ে দিতে বলেও সে না ছেড়ে তালবাহানা করতে থাকে। রোববার সে উল্টো আমার দোকানের তালা ভেঙে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। আমি এতে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারপিট করে। বাজারের লোক আমাকে তার কাছ থেকে উদ্ধার করে।