বইয়ের পোকামাকড়ের সাথে
বহুদিন মিতালির সাধে
তাহার মুখপানে অপলক নয়নে,
আঁধার দেখি
বার বার পথ ভুলি
তবু ছুটে যাই হৃদয়ের টানে।
সে যেনো আছে রঙ তুলি জুড়ে
আমার নয়ন ভরে।
মনের আর্শীতে দেখি তাহার সোনামুখ,
পাতার ভাঁজে ভাঁজে
তারে ছুঁয়ে পাই সুখ।
তাহার চাহুনিতে ঝরে মুক্তদানা
ঘর আলো করে সোনা মুখখানা
কাজলভরা দু’আঁখি যেনো
হরিনী কাজল নয়ন,
শত শব্দের অলিতে-গলিতে
খুঁজি রোজ সারাক্ষণ।
তাহারে খুঁজে পাই উপন্যাস গল্পে
ভাবি সে যেনো-
চন্দন মাখা জ্যোৎসনায় হুর-পরীদের সখী
রূপ-সুধা পান করি গো তাহার-
অপলক চেয়ে থাকি।
বদন তাহার পূর্নিমা চাঁদ
মুখে মধুর বুলি
পথ নাটকে পাবো দেখা গো
নাম দেবো তার তুলি।
তুলির রঙেতে নরম আদরে
পুনর্জন্ম লাভে
এই যাযাবর জীবন বোধ হয়
বড়োই ধন্য হবে।
না হয় কোনো স্বপ্নলোকে
ভীড় ঢেলে রথ মেলায়
সেই মায়াবী কিতাব-কীটের
দ্যাখা পাবো শেষ বেলায়!
যতদিন তাহার দ্যাখা নাহি পাই
আঁকবো কল্পছবি
প্রতীক্ষায় তবু বসে রবে প্রিয়
মুসাফির ভোলাকবি।