ঘুড়ি // বিলাল মাহিনী

কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়েছি কতো; প্লেন উড়িয়েছি হাজারো!
কীভাবে কেটে গেছে জীবনের শত সহস্র রাত, দিনের আলোতে রোদের ঝলকে চৈত্র হাওয়ায় উড়িয়েছি শত ঘুড়ি।

আজ মনে পড়ে-
কানামাছি খেলার দিনগুলো, বৌচি-লুকোচুরি, চড়ুইভাতি খিচুড়ি রান্নার সেই স্মৃতি, বৌ বৌ খেলা, কঞ্চি দিয়ে ঘর বানিয়ে দোকান-বেচা-বিক্রি খেলা।

মনে পড়ে, দিঘির মেলা থেকে মাথা কাঁপা বুড়ো কিনে না দিলে কতোই না কেঁদে বুক ভাসিয়েছি, রথ মেলা বটতলার মেলা ঈদ মেলা, আহ! দারুণ! কী আনন্দ।

দাদুর কোলে বসে ভূতের গল্প
ভয়ে পুলকিত হতো অল্প অল্প
বৈশাখ ঝড়ে আম কুড়নো, জাম লিচু আমঝুম, ঝিনুকের ছুরিতে আম কেটে খাওয়া, বেশ!

নতুন ধানের গন্ধে ভরে যেতো মন
পিঠাপুলি দুধ মালাইয়ের স্বাদ এখনো লেগে আছে গালে।

সোনালী দিনগুলো কীভাবে কেটে গেলো!
এখন নেই সেই স্বাদ, আনন্দ হাসি গান, নেই হৃদ্যতা, ভালোবাসা অফুরান! রোজার বাঁকা চাঁদ এখন আপ্লূত করে না কেনো জানি না, দুনিয়া জুড়ে এক অজানা অচেনা ভয়!

এখন জীবন ঘুড়ি আর ওড়ে না
সবুজ বাতাসের বড়োই অভাব
মাঝি পাল তোলে না, গান গায় না
ইফতার পূর্ব ঐতিহ্য চোখে পড়ে না
রোজার গান বাজে না মসজিদে!
আগে সেহরির সময় দল বেঁধে আনন্দ করতাম, খোদার মেহমানদের জাগাতাম, কোথায় হারালো সেই প্রীতি?

নিমেষেই যুগ কেটে গেলো!
জীবন ঘুড়ি বায়ু স্বল্পতায় ধীরে ধীরে নিষ্প্রাণ নিলাভ হয়ে ওপারের টানে স্ববেগে ছুটে চলছে…।

Check Also

সুন্দরবনে পরিবারের সঙ্গ: কাইয়ুম রাজের আনন্দঘন ভ্রমণ

আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। এবারের ঈদে আমি নানুবাড়ি গিয়েছিলাম। ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।