মৃত্যু কতো স্বাভাবিক
জীবন মূল্যহীন মৃত্যুর কাছে
বাবার কাঁধে সন্তানের কফিন
সন্তানের কাঁধে মা
চির সুখের! শ্বাশত চিরায়ত মহাসত্য মৃত্যু,
তবু বিভোর সৃষ্টির সেরা মাখলুক!
ধরনীর প্রত্যেক বস্তুই তার মূলের দিকে ফিরে যায়, মানুষও।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে ছুটে চলে অবিরাম, যাচ্ছেতাই গালি মারে জেনে না জেনে, না বুঝে।
সময়র ক্যালকুলেশন করে না সে
সত্যের যাত্রী নগন্য, গন্তব্য সুদূর…
মিথ্যা মরিচীকায় সয়লাব মাটির পৃথিবী,
কখন কড়া নাড়ে মালাকুল মউত, কে জানে?
কারো চির বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জনতা, উল্লাসে ফেটে পড়ে।
কারো বিদায়ে কান্নার বাঁধ ভাঙ্গে
গুমড়ে মরে অন্তর।
সত্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে যারা পিষে ফেলতে চায়
রক্তের তৃষ্ণায় মানুষ মারে নির্বিচার
কোথায় তারা আজ?
বিলেত গুজরাট প্যারিস ইউনাইটেড স্টেড জুড়ে খুনের মাতম
লাখে লাখে ঝরছে প্রাণ, দাম্ভিক শয়তান! কিছু গুনীমনুও।
শেষ বিদায়ের জন্য গ্যাতি-গুষ্টির একটা পিঁপড়েও জুটছে না!
কোথায় সেই দম্ভ? কোথায় ক্ষমতা?
মৃত্যুর চেয়ে চির সুন্দর সত্য কিছু নেই, নেই এমন হৃদয়ছেড়া অার্তনাদ,
তবু স্বৈরাচার জুলুমবাজরা নির্বিকার!
মজলুমের বুকে খুন ঝরিয়ে, পায়ে শিকল পরিয়ে মজা লুটে ক্ষণিকের অস্থায়ী ঠিকানায়।
ক্ষমতার রঙিন চশমায় বিভোর
ফানুস উড়াতে, নেশার ঘোরে মাস্তিতে।
ওদিকে সতেরো শহীদের উষ্ণ খুন ডিঙিয়ে কেউবা মত্ত অভিসারে!
মদ নরী নেশায় বিভোর।
অধিকার আর এক মুঠো ভাতের দাবিতে বাংলার লাখো মুখে শুনি-
‘আমার পয়সায় কেনা গুলি,
আমার বুকেই চালিয়ে দিলি।