বিলাল মাহিনী, অভয়নগর (যশোর) :
যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে ১০ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ সড়ক মন্ত্রণালয়ের।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই নাজুক, তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, রাস্তা শুধু করলেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। খুলনা-মোংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোংলা পোর্টের কারণে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকির পাশাপাশি নতুন কাজগুলোর টেন্ডার আহ্বান করে প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে বর্ষার পরপর কাজ শুরু করা যায়।
বুধবার সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহা সড়কের ভাঙ্গাগেট নামক স্থানে সড়কের কিছু অংশ কেটে আবার কিছু অংশ খুড়ে পুনরায় তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘তমা গ্রুপ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সড়ক সুপারভাইজার জানান, তিনি তেমন কিছু জানেন না, তবে সড়কের যে অংশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে এবং ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেই অংশের কিছু জায়গা খুড়ে পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে।
তাছাড়া সড়কের যে অংশ ফুলে গিয়ে রাস্তার মধ্যে উঁচু উঁচু ঢিবি তৈরী করেছে সেই অংশের মাথা কেটে সমান করে রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে তার উপর থেকে বিটুমিন, কেমিক্যালসহ প্রয়োজনীয় উপাদান কাটা পড়ে শুধুমাত্র খোয়া থেকে যাচ্ছে।
আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে এবং তার উপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠলেই ছড়িয়ে যাবে। ফলে সড়কের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে যাবে।
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আপাতত আমাদের কাজটা শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে এমন নির্দেশনাই রয়েছে। কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্নের কোন জবাব দিতেও রাজি হয়নি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত সুপারভাইজার।
জানা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগরের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রূপদিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মানের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনষ্ট্রাকশন’। কাজ শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া একজায়গায় জড়ো হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়।
এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যে কারণে চরম ক্ষোভে ফেটে পড়ে এসড়কের যাত্রী সাধারণ। এমনকি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদের শিরোনামও হতে দেখা গেছে।
আবার বিভিন্ন সময় এনিয়ে আন্দোলনও হয়। যে কারণে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সু-সম্পন্ন হয়নি।
যে কারণে গতকাল আবারও যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয়রা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কারণ এ সড়ক দিয়ে শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে সারা দেশে সার-কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। যে কারণে এসড়কে ভারি যানবহনের চলাচল অনেক বেশি। সেই হিসেব মাথায় রেখে এই সড়কটিকে পুণ: নির্মাণ ছাড়া এ সড়কের স্থায়ীত্ব আসবে না।
তাদের দাবি সড়কের বিভিন্ন স্থানে নামকা ওয়াস্তে মেরামত না করে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করা হোক।