বিলাল মাহিনী, অভয়নগর (যশোর)
যশোরের অভয়নগরে গভীর রাতে ঘরে ঢোকা চোরের শাবলের আঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলার চলিশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শাবলের আঘাতে গুরুতর আহত হন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।
নিহত ব্যক্তির নাম দেবাশীষ সরকার সঞ্জয় (৪৫)। তিনি অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের গৌর চন্দ্র সরকারের ছেলে। উপজেলার রাজঘাটে অবস্থিত যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজে (জেজেআই) হিসাব বিভাগে উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তাঁর স্ত্রী রিপা সরকারকে (৩৪) খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রান্নাঘরের জানালার লোহার গ্রিল কেটে ঘরে দুজন চোর ঢোকে। এ সময় দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রী রিপা টের পেয়ে চিৎকার দেন। তাঁরা চোরদের ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় চোরেরা ঘরে থাকা শাবল দিয়ে দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রান্নাঘরের জানালার লোহার গ্রিল কেটে ঘরে দুজন চোর ঢোকে। এ সময় দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রী রিপা টের পেয়ে চিৎকার দেন। তাঁরা চোরদের ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় চোরেরা ঘরে থাকা শাবল দিয়ে দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এতে তাঁরা গুরুতর জখম হন। এ সময় দেবাশীষের মা মিনতি সরকারকে (৬২) লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে এলে দুই চোর পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আজ সোমবার ভোররাত পৌনে চারটার দিকে দেবাশীষ মারা যান। অবস্থার অবনতি হলে রিপা সরকারকে খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চুরি করতে বাধা দেওয়ায় চোরেরা শাবল দিয়ে দেবাশীষ ও তাঁর স্ত্রী রিপার মাথায় আঘাত করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেবাশীষ মারা যান। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ, ডিবি ও পিবিআই ঘটনাটি তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।