আমদানি পণ্য নিয়ে প্রতিদিনই ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ঢুকছে ভারতীয় ট্রাক। তবে এসব ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে তাঁদের অবাধ বিচরণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ভোমরা স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাথর ও অন্যান্য পণ্য বহনকারী ভারতীয় গাড়ি। এসব গাড়ির চালক ও তাঁদের সহকারীদের করোনা পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকেরা একই স্থানে কাজ করছেন এবং কাজ করার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ভারতীয় চালক, সহকারী ও খালাসিরা বন্দরে ঘোরাঘুরি করছেন। তাঁরা হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করছেন। ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভোমরা বন্দরে স্থাপিত স্বাস্থ্য ইউনিট কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পাসপোর্ট যাত্রীদের পরীক্ষা করে থাকি। ভারতীয় চালকদের পরীক্ষা করার নির্দেশ পেলে তা করা হবে।’
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢুকছে। চালকসহ প্রতি গাড়িতে কমপক্ষে তিনজন ভারতীয় থাকছেন। তাঁদের ফিরতে সময় লাগছে তিন থেকে চার দিন। করোনা পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের যাতায়াত ও ঘোরাঘুরিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
তবে এসব বিষয়ে ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানিয়েছেন, সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৩০০ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২০১ জন। এমন অবস্থায় সীমান্ত এলাকায়, বিশেষ করে স্থলবন্দরে করোনার সংক্রমণ রোধে ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষা না করে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়।
ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ বিশ্বজিত সরকার জানিয়েছেন, ভারতীয় চালকদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। পরীক্ষার বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করে থাকি।