একটি মামলায় আসামির পক্ষে জামিন শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল লতিফকে কটুক্তি করার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অ্যাড. আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
অ্যাড. আব্দুল লতিফের দায়েররকৃত মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আশাশুনি থানার একটি ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন শুনানি হয়। শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিনের বিরোধিতা করেন পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ। জামিনের বিরোধিতা করায় আসামীপক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম এ সময় পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য কটুক্তি করেন। “ যা হুবহু তুলে ধরা হল, শালা দালাল, বাটপারি করার জায়গা পাস না, শুয়োরের বাচ্চা তোকে দেখে নেব, খাটাল লতিফ, জাল সনদ নিয়ে তোকে ধরেছিলাম, পিপিগিরি ঘুচিয়ে দেব- ইত্যাদি”। আসামি অ্যাড. শাহআলম ওয়েবসাইট ও ইলেকট্রনিকস বিন্যাসে জুম মিটিংএ অংশ নিয়ে এসব কটুক্তি করেন। যা’ কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারক নিজ কানে শুনেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে তিনি তার মামলায় উল্লেখ করেছেন।
অপরদিকে, অ্যাড. এম শাহ আলম তার চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, অ্যাড. এসএম সালাহ উদ্দিন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. নিজামউদ্দিন, অ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অ্যাড. এবিএম সেলিম, অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, অ্যাড. নুরুল আমিন ও অ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকোকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, চেয়ার ও পানির বোতল দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা, চেম্বারের ৮০ হাজার টাকা মূল্যের দরজা ও জানালার কাঁচ ভাঙচুরসহ এসি লাইনের তার ছিঁড়ে ফেলার কথা উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বুরহান উদ্দিন জানান, অ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে অ্যাড. আব্দুল লতিফের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এজাহারটি মঙ্গলবার রাতেই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া অ্যাড. এম শাহ আলমের দায়েরকৃত এজাহারটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।