কালীগঞ্জ থানায় জিডির সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কদমতলা বাজারে রতনপুর ইউনিয়নের পীরগাজন গ্রামের শফিকুল ইসলামের (৩৮) ‘নাফিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামের একটি দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাসুম বিল্লাহ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের কাছে গিয়ে ইউএনও কথা বলবেন বলে মুঠোফোন তাঁর কাছে দেন। এ সময় ইউএনও পরিচয় দিয়ে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর জানাতে বলা হয়।
ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ‘অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’
ওই ব্যবসায়ী নম্বর দিলে পরবর্তী সময়ে ওই নম্বরে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ‘বর্তমানে করোনার সময় সব দোকানপাট বন্ধ। মিষ্টির দোকান খোলা নিয়ে ওপরের চাপ আছে অনেক। সে ক্ষেত্রে অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’ এরপর একই নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন দিয়ে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম কালীগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন।
এদিকে ইউএনও পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবির বিষয়টি অবগত হওয়ার পর কালীগঞ্জের ইউএনও তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে সতর্কবার্তা প্রচার করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কোনো কোনো ফোন নম্বর থেকে মোবাইল কোর্ট করার কথা বলে হয়রানি করছে মর্মে শোনা গেছে। এ বিষয়ে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।