নেত্রকোনার কেন্দুয়া, মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলায় বজ্রপাতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহতদের মধ্যে খানিয়াজুরীতে ৩, কেন্দুয়ায় ২ ও মদনে ২ জন রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে বজ্রপাতে নিহতের এসব ঘটনা হয়। নিহত কেন্দুয়া উপজেলার কৃষক দুইজন হচ্ছেন- পাইকুড়া ইউপির বৈরাটি গ্রামে বায়েজিদ (৪২) ও কান্দিউড়া ইউপির কুণ্ডলী গ্রামের ফজলু মিয়া (৫৫) মারা গেছে। নিহত বায়েজিদ বৈরাটী গ্রামের আসন খানের ছেলে আর নিহত ফজলু মিয়া কুণ্ডলী গ্রামের তরব আলীর ছেলে।
খালিয়াজুরী উপজেলার নিহত তিন জন হচ্ছেন, জগন্নাথপুর গ্রামের ছেলু ফকিরের ছেলে ওয়াছেক মিয়া (৩৫), আমীর সরকারের ছেলে বিপুল মিয়া (৩২) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন (২৮)।
মদন উপজেলায় নিহত দুইজন হচ্ছেন, উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে আতাবুর (২১) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে শরিফ (১৮)। আহত তিনজন হচ্ছে, একই গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে রবিন (১৫), চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার (২২) ও হিরন মিয়ার ছেলে রোমান (১৮)।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ২টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় নিহত দুইজন কৃষক মাঠে কাজ করছিলেন।
তখন তারা বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলাতে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় উপজেলার পুটিয়ার খালে ওয়াছেক, বিপুল ও মনির হোসেন মাছ ধরছিলেন। তখন বজ্রপাতের আঘাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, বেলা ৩টার দিকে বজ্রসহ ভারিপাতের মধ্যে বাড়ির সামনে মাঠে তারা খেলা করছিল।এসময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে ২ জন মারা যায় আর দুইজন আহত হয়। এছাড়া বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হন সুরমা আক্তার । আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজী মো.আবদুর রহমান জানান, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ হয়েছে এবং পৌঁছে দেয়া হয়েছে।